ড্রোন থেকে তোলা ছবি
২১ জানুয়ারি ২০১৬এমন সব মানুষজনকে কাছ থেকে দেখা, যারা সাধারণত আমাদের অনেক ওপরে থাকেন৷ যেমন হামবুর্গ শহরে জার্মান রাইশ-এর প্রতিষ্ঠাতা অটো ফন বিসমার্ক-এর মূর্তি, মাটি থেকে ৩৪ মিটার উঁচুতে৷ কিংবা জার্মানির কাসেল শহরে গ্রিক উপদেবতা হারকিউলিস-এর আট মিটার উঁচু মূর্তি, যা ২০১৩ সাল যাবৎ ইউনেস্কোর বিশ্ব সাংস্কৃতিক সম্পদ হিসেবে স্বীকৃত৷ অথবা নিডারভাল্ড-এর স্মৃতিসৌধে ‘গ্যারমানিয়া' বা ‘জার্মানিয়া'-র মূর্তি৷
এ সবের ছবি তুলতে ক্যামেরা যুক্ত ড্রোন ব্যবহার করেছেন আলোকচিত্রশিল্পী হাইনার-ম্যুলার এল্সনার৷ এল্সনার বলেন, ‘‘এ থেকে একটা অপ্রচলিত দৃষ্টিকোণ পাওয়া যায়, মূর্তিগুলোর খুব কাছাকাছি আসা যায়৷ যেন তাদের মুখোমুখি বসে আছি, তাদের সঙ্গে কথা বলছি৷ এমনভাবে তাদের দেখা একটা বিশেষ ব্যাপার৷ আর ছবি তোলা সম্ভব হলে, সেটা আরো অনেকে দেখবেন, বলে আশা করা যায়৷''
হাইনার তাঁর ড্রোন চালান রিমোট কন্ট্রোল দিয়ে৷ বোতাম টিপে ক্যামেরাটাকে চালু করেন৷ সঙ্গে থাকেন এক সহযোগী, যিনি বেতার সংযোগের উপর লক্ষ্য রাখেন৷ পুরোটা মজা নয়, বরং একটা শক্ত কাজ৷ প্রত্যেকটি উড়ালের জন্য আলাদা করে অনুমতি চাই৷ বাতাসে ড্রোন উলটে পড়তে পারে, মাটিতে আছড়ে পড়তে পারে – অথচ এমন একটা ড্রোনের দাম একটা মাঝারি গোছের গাড়ির সমান৷
এল্সনার জানালেন, ‘‘বলতে কি, এটা আমার ছেলেবেলার স্বপ্ন৷ ওপরে ঐ যে জিনিসটা ঘুরছে, তার দাম কিন্তু অনেক বেশি, এই যা৷ আমার তো সব সময় হাত ঘামে, কাজ শেষ হবার পরে, প্রত্যেকবার ড্রোনটা ল্যান্ড করার পরে৷ পুরোটাই অবশ্য অভ্যেসের ব্যাপার, উড়াল প্রতিবারেই আর একটু ভালো হয় – আবার প্রতিবারেই এমন সব ঘটনা ঘটে, যা ঘটার কথা ছিল না৷''