1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ড্রোন থেকে তোলা ছবি

অলিভার সালেট/এসি২১ জানুয়ারি ২০১৬

গোটা জার্মানি জুড়ে আছে নানা ধরনের স্ট্যাচু, বড় বড় থাম কিংবা প্ল্যাটফর্মের ওপর দাঁড় করানো৷ মূর্তিগুলো হয়তো বেশ কয়েক মিটার লম্বা৷ ধরুন যদি একটা ড্রোনের উপর ক্যামেরা বসিয়ে এই সব স্ট্যাচুর ছবি তোলা যায়?

https://p.dw.com/p/1Hh7f
Euromaxx Serie Luftnummer Drohnenfotograf
ছবি: Heiner Müller-Elsner

অন্যভাবে ভাস্কর্য দেখা

এমন সব মানুষজনকে কাছ থেকে দেখা, যারা সাধারণত আমাদের অনেক ওপরে থাকেন৷ যেমন হামবুর্গ শহরে জার্মান রাইশ-এর প্রতিষ্ঠাতা অটো ফন বিসমার্ক-এর মূর্তি, মাটি থেকে ৩৪ মিটার উঁচুতে৷ কিংবা জার্মানির কাসেল শহরে গ্রিক উপদেবতা হারকিউলিস-এর আট মিটার উঁচু মূর্তি, যা ২০১৩ সাল যাবৎ ইউনেস্কোর বিশ্ব সাংস্কৃতিক সম্পদ হিসেবে স্বীকৃত৷ অথবা নিডারভাল্ড-এর স্মৃতিসৌধে ‘গ্যারমানিয়া' বা ‘জার্মানিয়া'-র মূর্তি৷

এ সবের ছবি তুলতে ক্যামেরা যুক্ত ড্রোন ব্যবহার করেছেন আলোকচিত্রশিল্পী হাইনার-ম্যুলার এল্সনার৷ এল্সনার বলেন, ‘‘এ থেকে একটা অপ্রচলিত দৃষ্টিকোণ পাওয়া যায়, মূর্তিগুলোর খুব কাছাকাছি আসা যায়৷ যেন তাদের মুখোমুখি বসে আছি, তাদের সঙ্গে কথা বলছি৷ এমনভাবে তাদের দেখা একটা বিশেষ ব্যাপার৷ আর ছবি তোলা সম্ভব হলে, সেটা আরো অনেকে দেখবেন, বলে আশা করা যায়৷''

হাইনার তাঁর ড্রোন চালান রিমোট কন্ট্রোল দিয়ে৷ বোতাম টিপে ক্যামেরাটাকে চালু করেন৷ সঙ্গে থাকেন এক সহযোগী, যিনি বেতার সংযোগের উপর লক্ষ্য রাখেন৷ পুরোটা মজা নয়, বরং একটা শক্ত কাজ৷ প্রত্যেকটি উড়ালের জন্য আলাদা করে অনুমতি চাই৷ বাতাসে ড্রোন উলটে পড়তে পারে, মাটিতে আছড়ে পড়তে পারে – অথচ এমন একটা ড্রোনের দাম একটা মাঝারি গোছের গাড়ির সমান৷

এল্সনার জানালেন, ‘‘বলতে কি, এটা আমার ছেলেবেলার স্বপ্ন৷ ওপরে ঐ যে জিনিসটা ঘুরছে, তার দাম কিন্তু অনেক বেশি, এই যা৷ আমার তো সব সময় হাত ঘামে, কাজ শেষ হবার পরে, প্রত্যেকবার ড্রোনটা ল্যান্ড করার পরে৷ পুরোটাই অবশ্য অভ্যেসের ব্যাপার, উড়াল প্রতিবারেই আর একটু ভালো হয় – আবার প্রতিবারেই এমন সব ঘটনা ঘটে, যা ঘটার কথা ছিল না৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান