ড্রোনের সামরিক ব্যবহার
ড্রোন যে শুধু ছবি তোলার কাজে ব্যবহার হয়, এমন নয়৷ বরং যুদ্ধক্ষেত্রে কিংবা নজরদারিতে এর ব্যবহার আরো ভয়াবহ৷ যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ ড্রোন ব্যবহার করছে যুদ্ধের কাজে, জঙ্গি দমনে৷ তবে এতে বেসামরকি প্রাণহানিও ঘটছে৷
মেক্সিকো-অ্যামেরিকা সীমান্তে ড্রোন
ছবির এই ড্রোনটি তৈরি করেছে এলবিট সিস্টেমস লিমেটেড৷ মেক্সিকো এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে টহলের কাজে মনুষ্যবিহীন এই ড্রোন ব্যবহার করা হয়৷
ইসরায়েলের ড্রোন
‘স্কাইলার্ক’ ড্রোন হাতে ইসরায়েলি এক সেনা৷ মূলত ফিলিস্তিনের উপর নজরদারির জন্য ব্যবহার করা হয় এগুলো৷ গাজায় ইসরায়েলের সর্বশেষ হামলার সময় ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে৷
আকাশ পানে তাকিয়ে থাকা
গাজার আকাশে ওড়া ইসরায়েলের ড্রোনের দিকে তাকিয়ে আছে এক ফিলিস্তিনি শিশু৷ জুলাই এবং আগস্টে গাজায় ইসরায়েলের হামলায় প্রাণ হারিয়েছে দুই হাজারের বেশি মানুষ, যাদের মধ্যে অধিকাংশই বেসামরিক নাগরিক৷ অন্যদিকে ইসরায়েলের ৬৩ সেনা এবং চার বেসামরিক নাগরিক প্রাণ হারিয়েছে৷
আধুনিকতম ‘ড্রোন’
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি নতুন ধরনের ড্রোন তৈরির চেষ্টা করছে যেটি পৃথিবীর যে কোনো স্থানে এক ঘণ্টার কম সময়ের মধ্যে হামলা চালাতে সক্ষম হবে৷ সোমবার এই যানের এক পরীক্ষামূলক ফ্লাইট অবশ্য ব্যর্থ হয়েছে৷
জঙ্গি নিধনে ড্রোন
আফগানিস্তান এবং পাকিস্তানের সীমান্ত সংলগ্ন অঞ্চলে ড্রোন ব্যবহার করে জঙ্গি নিধনে ভূমিকা রাখছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র৷ তবে এ সব হামলায় বেসামরিক প্রাণহানির ঘটনাও ঘটছে৷ পাকিস্তানের রাজনীতিবিদ ইমরান খান ড্রোন হামলার বিপক্ষে জনমত তৈরির চেষ্টা করছেন৷
বেসামরিক ব্যবহার
সামরিক ব্যবহার ছাড়াও ছবি কিংবা ভিডিও করা থেকে শুরু করে বর্তমানে ডাক যোগাযোগ ব্যবস্থায়ও ড্রোন ব্যবহার শুরু হয়েছে৷ নাগরিকদের কাছে সরকারি চিঠি-পত্র পাঠাতে ড্রোন ব্যবহারের পরিকল্পনা করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত৷