1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শতাধিক বাংলাদেশিকে উদ্ধার

৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৩

শ্রীলঙ্কার নৌবাহিনী একটি ডুবতে থাকা ট্রলার থেকে ১৩৮ বাংলাদেশি ও মিয়ানমারের নাগরিকদের উদ্ধার করেছে৷ দ্বীপরাষ্ট্রটির পূর্ব উপকূলে রবিবার মাছ ধরার ট্রলারটি ডুবে যায়৷ উদ্ধারকৃতদের গন্তব্য জানা যায়নি৷

https://p.dw.com/p/17XO9
This photograph provided by the Sri Lankan Navy shows Sri Lankan Navy personnel helping one of the rescued youths disembark from a Sri Lankan Navy vessel at the Oluvil Fisheries harbor in Sri Lanka, Sunday, Feb.3, 2013. The Sri Lankan Navy Sunday rescued 138 Bangladeshi and Myanmar nationals from a sinking fishing vessel in the seas 50 nautical miles east of Oluwil, the Sri Lankan Navy said. (AP Photo/Sri Lankan Navy)
ছবি: picture-alliance/AP Photo

মাছ ধরার নৌকাটিতে একজনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে৷ উদ্ধারকৃতরা কোন জায়গা থেকে যাত্রা শুরু করেছিলেন কিংবা তাদের গন্তব্য কোথায় ছিল, তা অবশ্য জানা যায়নি৷ তবে গত কয়েক মাসে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদগুলো পর্যালোচনা করলে, খানিকটা আন্দাজ করা যায়৷ সাধারণত বাংলাদেশের কক্সবাজার বা টেকনাফ উপকূল থেকে মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ডে মাছ ধরার নৌকায় করে যেতে চায় অনেকে৷ উদ্দেশ্যে, বিদেশে গিয়ে ভাগ্য পরিবর্তনের চেষ্টা করা, সীমাহীন দারিদ্র্য থেকে মুক্তির উপায় খোঁজা৷

In this photo taken Jan. 1, 2013, a boat carrying 73 Rohingya refugees is intercepted by Thai authorities off the sea in Phuket, southern Thailand. Officials said the refugees from Myanmar's Rohingya minority found adrift off a Thai resort island will be repatriated to their homeland. Phuket provincial Governor Maitri Inthusut said Wednesday they declared they were unable to continue their hoped-for journey to Malaysia due to exhaustion and fear of mishaps at sea. (Foto:AP/dapd)
বাংলাদেশের কক্সবাজার বা টেকনাফ উপকূল থেকে মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ডে মাছ ধরার নৌকায় করে যেতে চায় অনেকেছবি: AP

তবে এধরনের চেষ্টা অনেক সময়েই ব্যর্থ হয়৷ অনেকের সলিল সমাধি ঘটে সমুদ্রে৷ কেউ ধরা পড়ে নৌবাহিনীর হাতে৷ কেউবা জান নিয়ে কোনমতে ফিরে আসে৷ রবিবার শ্রীলঙ্কার উপকূল থেকে উদ্ধারকৃতরা এমন কোন দলের সদস্য কিনা সেটা নিশ্চিত হওয়া যায়নি৷ তবে শ্রীলঙ্কার পুলিশের মুখপাত্র প্রিশান্থা জয়াকোডি জানিয়েছেন, তাদের গন্তব্য যে শ্রীলঙ্কা ছিল না, সেটা ইতোমধ্যে পরিষ্কার হয়ে গেছে৷ আর উদ্ধারকৃতদের মধ্যে ১৪ জন মিয়ানমারের নাগরিক৷ বাকিরা সবাই বাংলাদেশি৷

এখন পর্যন্ত যা খবর, তাতে ১৩৮ জনকে নিয়ে মাছ ধরার নৌকাটি সমুদ্র গন্তব্যহীনভাবে ভাসছিল গত দশ দিন ধরে৷ একসময় সেটি শ্রীলঙ্কার উপকূলের কাছাকাছি চলে আসে৷ এরপর তা শ্রীলঙ্কার জেলেদের নজরে আসে৷ জেলেরা খবর দেয় সেদেশের নৌবাহিনীকে৷ এরপর তিনটি জাহাজ নিয়ে উদ্ধার অভিযান শুরু করে সেনারা৷

শ্রীলঙ্কার নৌবাহিনীর মুখপাত্র কোসালা ওয়ার্নাকুলাসুরিয়া এই বিষয়ে জানিয়েছেন, ‘উদ্ধারকৃতদের মধ্যে কয়েকজনকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷' সমুদ্রে নিরুপায় ও অসহায় অবস্থায় ভেসে থাকা মানুষদেরকে উদ্ধার করতে সময় লেগেছে বিশ ঘণ্টার মতো৷

পুলিশ মুখপাত্র জয়াকোডি জানিয়েছেন, ‘উদ্ধারকৃতদের সঙ্গে কথাবার্তা বলা অনেক কঠিন৷ কেননা, তারা আমাদের ভাষা বোঝে না, আমরা তাদের ভাষা বুঝি না৷ তাই সংশ্লিষ্ট দূতাবাসের কাছে অনুবাদক চেয়েছি আমরা৷'

সমুদ্র থেকে বেঁচে ফেরারা আপাতত শ্রীলঙ্কাতেই থাকবেন, এমনটাই জানিয়েছেন পুলিশ মুখপাত্র৷ তিনি বলেছেন, তাদেরকে কলম্বোর অস্থায়ী আবাসে সরিয়ে নেওয়া হবে৷ সেই প্রক্রিয়া শুরুর আগে পর্যন্ত তারা ওলুউইল উপকূলে থাকবে৷

এআই/এসি (রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য