1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানিতে ট্রাম্প বিরোধিতা

৩০ মে ২০১৭

ম্যার্কেল শুরু করলেন৷ তাঁর সুরে কণ্ঠ মেলাচ্ছেন একের পর এক জার্মান নেতা৷ রাখঢাক না করেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্পর্কে তাঁদের কড়া মনোভাব প্রকাশ করছেন৷ সেইসঙ্গে ইউরোপীয় ঐক্যের ডাক জোরদার হচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/2dno1
সিগমার গাব্রিয়েল
ছবি: Picture alliance/dpa/M. Skolimowska

জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে এসপিডি দলের নেতা সিগমার গাব্রিয়েল স্পষ্টবক্তা হিসেবে নিজের স্বভাব এতকাল অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রেখেছিলেন৷ ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউরোপ সফর শেষ করার পর তিনিও কড়া ভাষায় তাঁর সমালোচনা করলেন৷ উল্লেখ্য, এর আগে চ্যান্সেলর ম্যার্কেলও নিজের ক্ষোভ উগরে দেন

এক সাক্ষাৎকারে গাব্রিয়েল বলেন, ট্রাম্প প্রশাসনের অদূরদর্শী নীতির ফলে পশ্চিমা জগত সামগ্রিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছে এবং ইউরোপের স্বার্থের যথেষ্ট ক্ষতি হয়েছে৷ এর কিছু দৃষ্টান্ত তুলে ধরে গাব্রিয়েল বলেন, যদি কেউ পরিবেশ সুরক্ষা দুর্বল করে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব আরও তরান্বিত করে, সংকটপূর্ণ এলাকায় আরও অস্ত্র বিক্রি করে এবং রাজনৈতিকভাবে ধর্মীয় সংঘাত নিরসনের চেষ্টা না করে – সে ইউরোপের শান্তি ঝুঁকির মুখে ফেলছে৷ এই অবস্থায় ইউরোপীয়দের একজোট হয়ে পরিবেশ সুরক্ষার জন্য লড়াই করতে হবে, অস্ত্র বিক্রি কমাতে হবে এবং ধর্মীয় মৌলবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে বলে মনে করেন জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী৷ ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে পারদের মাত্রা আরও একধাপ চড়িয়ে গাব্রিয়েল বলেন, ‘‘যে এই মার্কিন নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে না, সে নিজেও তার পরিণতির জন্য দায়ী হবে৷''

ট্রাম্প ও তাঁর নীতি সম্পর্কে ইউরোপে হতাশা ও ক্ষোভের মাত্রা যথেষ্ট আন্তরিক৷ সেইসঙ্গে জার্মানির আসন্ন সাধারণ নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন দলের রাজনীতিকরা এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার ক্ষেত্রে নিজেদের যোগ্যতা তুলে ধরার চেষ্টা করছেন৷ এসপিডি দলের এক নেতা ম্যার্কেল সম্পর্কে বলেছেন, ট্রাম্প ফিরে যাবার পর কড়া কথা শোনানোর বদলে সরাসরি তাঁর সামনেই বিরোধিতা করা উচিত ছিল৷ দলের চ্যান্সেলর পদপ্রার্থী মার্টিন শুলৎস এ বিষয়ে তাঁর অবস্থান তুলে ধরেন৷

সোমবারও ম্যার্কেল ট্রাম্প সম্পর্কে নিজের অবস্থানে অটল ছিলেন৷ বার্লিনে এক ভাষণে সেইসঙ্গে তিনি বলেন, বার্লিন ও ওয়াশিংটন অবশ্যই ঘনিষ্ঠ সহযোগী থাকবে৷ তবে ইউরোপকে নিজের স্বার্থ রক্ষা করতে আরও ঐক্যবদ্ধ হতে হবে৷

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, ডিপিএ)