জোটসঙ্গীদের উপর আর আস্থা নয়!
২৯ মে ২০১৭ন্যাটো, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জি-সেভেন শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবার পর জার্মান চ্যান্সেল আঙ্গেলা ম্যার্কেল বাভেরিয়ায় এক তাঁবুর মধ্যে জনসভায় বক্তব্য রাখছিলেন৷ আসন্ন সাধারণ নির্বাচনের আগে তিনি ইউনিয়ন শিবিরের হয়ে প্রচারে মন দেবেন, এমনটাই ভেবেছিলেন উপস্থিত প্রায় ২,৫০০ দর্শক৷ কিন্তু গত কয়েক দিনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বার বার সাক্ষাতের পর তিনি তাঁর মনের কথা খুলে বললেন৷ বিশেষ করে জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলাসহ একাধিক বিষয়ে ট্রাম্প বেঁকে বসায় তিনি চরম বিরক্ত৷ ন্যাটো, ইইউ ও জি-সেভেন মঞ্চে ঐকমত্যের পথে বর্তমান মার্কিন প্রশাসন পর পর বাধা সৃষ্টি করায় জোটসঙ্গী হিসেবে অ্যামেরিকার নির্ভরযোগ্যতা এক ধাক্কায় অনেকটা কমে গেছে – পরোক্ষভাবে সেটাই বুঝিয়ে দিলেন ম্যার্কেল৷
সরাসরি ট্রাম্পের উল্লেখ না করেই ম্যার্কেল বলেন, একটা সময় ছিল যখন অন্যদের উপর পুরোপুরি নির্ভর করা যেত৷ গত কয়েক দিনের অভিজ্ঞতার পরতাঁর মনে হচ্ছে, এখন আর সেটা সম্ভব নয়৷ এই অবস্থায় ইউরোপীয়দের সামনে একটি পথ খোলা আছে৷ অর্থাৎ নিজেদের দায়দায়িত্ব নিজেদের হাতেই তুলে নিতে হবে৷ এ প্রসঙ্গে তিনি ব্রেক্সিটের পর জোটসঙ্গী হিসেবে ব্রিটেনের দুর্বল অবস্থানেরও উল্লেখ করেন৷ নাম করে অ্যামেরিকা ও ব্রিটেন সম্পর্কে ম্যার্কেল বলেন, এই দুই দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় থাকবে৷
জার্মানির আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে ম্যার্কেলের প্রতিদ্বন্দ্বী এসপিডি দলের মার্টিন শুলৎস-ও এ বিষয়ে ম্যার্কেলের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন৷ তিনি বলেন, ইউরোপই এই সংকটের জবাব হতে পারে৷ ইউরোপীয় রাষ্ট্রগুলির মধ্যে সব স্তরে আরও নিবিড় সহযোগিতাই হবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি জবাব৷ উল্লেখ্য, ট্রাম্প সম্পর্কে শুলৎসের মনোভাব কারো অজানা নয়৷
অ্যামেরিকা আর তার জোটসঙ্গীদের নেতৃত্ব দিতে পারছে না, ম্যার্কেলের মতো নেতার মুখে এমন মন্তব্য শুনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে৷ এর ফলে ট্রাম্প প্রশাসন আরও চাপের মুখে পড়ছে৷
এসবি/এসিবি (ডিপিএ, এএফপি)