টিউনিশিয়ার লকডাউন-বিক্ষোভ সামলাতে সেনা
১৯ জানুয়ারি ২০২১টিউনিশিয়ায় বিক্ষোভ বাড়ছে। গোটা দেশ জুড়ে সেনা নামিয়েছে সরকার। সোমবার গ্রেফতার হয়েছেন ৬৩২ জন প্রতিবাদী। আটক ব্যক্তিদের অবিলম্বে ছাড়ার আর্জি জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। সরকারের বক্তব্য, করোনা প্রকোপ কমাতে নতুন করে লকডাউনের সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরেই রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বহু মানুষ।
গত বেশ কয়েক দিন ধরেই টিউনিশিয়ায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।করোনার সংক্রমণ গোটা দেশেই ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে গত বেশ কিছু দিন ধরেই সেখানে লকডাউন চলছে। লকডাউনের ফলে মানুষের কাজ গিয়েছে। দেশের অধিকাংশ যুবক কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। শুধু তাই নয়, অর্থনীতির অবস্থাও ভয়াবহ। পর্যটন নির্ভর টিউনিশিয়ায় গত এক বছরে কার্যত কোনো পর্যটক যাননি। ফলে অর্থনীতি কার্যত ভেঙে পড়েছে। তারই মধ্যে লকডাউনে মানুষ ধৈর্য হারিয়েছেন।
সরকার বিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়েছে গোটা দেশ জুড়ে। সোমবার তা ভয়াবহ চেহারা নেয়। রোববার লকডাউন শেষ হওয়ার পরে সোমবার নতুন করে লকডাউনের ঘোষণা দেয় প্রশাসন। তারপরই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রাস্তায় নেমে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। টায়ার জ্বালিয়ে, ডাস্টবিন জ্বালিয়ে তাঁরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। মানবাধিকার সংস্থা গুলির দাবি, কাঁদানে গ্যাস চালিয়ে, লাঠিচার্জ করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করেছে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে ৬৩২ জনকে। টিউনিশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, গোটা দেশেই সেনা নামানো হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সেনা দেশ জুড়ে ফ্ল্যাগমার্চ করছে।
অ্যামনেস্টি জানিয়েছে, যাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁদের অধিকাংশের বয়সই ১৫ থেকে ২০ বছরের মধ্যে। দ্রুত তাঁদের মুক্তির দাবি জানিয়েছে মানবাধিকার রক্ষার সংস্থাটি।
সরকার অবশ্য এখনই কাউকে মুক্তি দিতে চায় না। বরং পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত তাঁদের আটকই রাখতে চায়। বস্তুত, টিউনিশিয়ার অর্থনীতি ভয়াবহ জায়গায় পৌঁছেছে। আফ্রিকার বেশ কিছু দেশ করোনায় বিধ্বস্ত। ভয়াবহ অর্থকষ্ট শুরু হয়েছে। কাজ হারাচ্ছেন বহু মানুষ। তারই মধ্যে টিউনিশিয়ার বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, তাঁদের এক নতুন টিউনিশিয়ার স্বপ্ন দেখানো হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে তার ঠিক উল্টো ঘটনাই ঘটেছে।
এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এএফপি)