1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজইউক্রেন

ঝাপোরিজ্ঝিয়ায় রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় মৃত ১২

১০ অক্টোবর ২০২২

ঝাপোরিজ্ঝিয়াতে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা। মৃত অন্তত ১২। দনেৎস্কের টরস্কে ও অন্য গ্রাম থেকে রুশ সেনা পালালো।

https://p.dw.com/p/4Hy5m
রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরের ছবি।
রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরের ছবি। ছবি: STR/REUTERS

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি রোববার জানিয়েছেন, ঝাপোরিজ্ঝিয়াতে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্ততপক্ষে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর পাশাপশি চলছে গোলাবর্ষণ। জেলেনস্কি জানিয়েছেন, ছয় শিশু-সহ ৪৯ জন হাসপাতালে ভর্তি।

এর আগে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিলেন, ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ফলে ১৭ জন মারা গেছেন। সিটি কাউন্সিলের সেক্রেটারি কুর্তেভ বলেছেন, অন্ততপক্ষে ২০টি বাড়ি, ৪০টি অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিং রাশিয়ার গোলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ঝাপোরিজ্ঝিয়ার গভর্নর স্তারুখ সামাজিক মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিংয়ের ছবি পোস্ট করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, উদ্ধারকারী দল দেখছে, ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আর কেউ বেঁচে আছেন কি না।

ঝাপোরিজ্ঝিয়া শহর হলো পরমাণু কেন্দ্র থেকে ১২৫ কিলোমিটার দূরে। এখন রাশিয়ার সেনা পরমাণু কেন্দ্র দখল করে আছে।

শনিবার সকালে ক্রাইমিয়া ব্রিজে বিস্ফোরণের পর একটা অংশ ভেঙে পড়ে। এর ফলে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে শক্তিপ্রয়োগ করে পুটিনের জয় পাওয়ার চেষ্টার উপর প্রতীকী আঘাত করা হয়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। এরপর থেকেই আশঙ্কা করা হচ্ছে, রাশিয়া প্রত্যাঘাত করবে।

পুটিনের দাবি

পুটিন জানিয়েছেন, ক্রাইমিয়া ব্রিজে বিস্ফোরণ একটা সন্ত্রাসবাদী কাজ এবং এর পিছনে ইউক্রেন আছে। তার অভিযোগ, রাশিয়ার বেসামরিক পরিকাঠামো ধ্বংস করার লক্ষ্য নিয়ে এই হামলা করা হয়েছে। ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী এর পরিকল্পনা করেছে এবং তারাই বিস্ফোরণের পিছনে আছে।

পুটিন বলছেন, ক্রাইমিয়ার ব্রিজের বিস্ফোরণ সন্ত্রাসবাদী কাজ।
পুটিন বলছেন, ক্রাইমিয়ার ব্রিজের বিস্ফোরণ সন্ত্রাসবাদী কাজ। ছবি: Russian Investigative Committee/AP/dpa/picture alliance

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির পরামর্শদাতা এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, এখানে একটাই সন্ত্রাসী দেশ আছে। পুরো বিশ্ব জানে সেই দেশের নাম।

দনেৎস্ক থেকে

আলজাজিরা জানাচ্ছে, দনেৎস্কের টরস্কে ও অন্য গ্রাম থেকে রাশিয়ার সেনা তড়িঘড়ি পালিয়েছে। এই গ্রামগুলি এখন ইউক্রেনের সেনার অধিকারে। তারাই রাস্তায় পাহাড়া দিচ্ছে। প্রায় জনমানবশূন্য গ্রামে দেখা যাচ্ছে, রাশিয়ার সেনা বিভিন্ন বাড়ি দখল করেছিল। সেখান থেকে দ্রুত তারা পালিয়েছে। তাদের পোশাক বাড়িতে শুকাতে দেয়া ছিল। রাস্তায় রুশ সেনার প্রচুর মৃতদেহও পড়ে আছে বলে জানানো হয়েছে।

জিএইচ/এসজি (এপি, এএফপি, রয়টার্স, ডিপিএ)