জেল দাঙ্গায় নিহত কমপক্ষে ৫০
২৬ জানুয়ারি ২০১৩শুক্রবার দুপর থেকে ভুক্তভোগীরা হাসপাতালে আসতে শুরু করে, জানান রুয়ি মদিনা৷ লারা রাজ্যের উরিবানা কারাগারে সংঘর্ষে হতাহতদের আনা হয় তাঁর হাসপাতালে৷ মদিনার হিসেব অনুযায়ী, সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা কমপক্ষে ৫০, আহত ৯০৷
মদিনা বলেন, হাসপাতালে পৌঁছানো অধিকাংশ কয়েদিই গুলিবিদ্ধ ছিল৷ তিনি নিহতের সংখ্যাকে ‘উদ্বেগজনক' আখ্যা দিয়েছেন এবং জানিয়েছেন, শুধুমাত্র হাসপাতালে পৌঁছানোদের হিসেব বিবেচনা করেই হতাহতের সংখ্যা জানাচ্ছেন তিনি৷ তার মানে সংঘর্ষে হতাহতের সংখ্যা আরো বেশি কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত নন মদিনা৷
ভেনেজুয়েলার কারাগার বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা মন্ত্রী আইরিশ ভারেলা এই বিষয়ে বলেন, সংঘর্ষে হতাহতের সঠিক সংখ্যা এখনো নির্ধারণ করা যায়নি৷
এখন পর্যন্ত যা খবর, তাতে শুক্রবার সকালে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা কারাগারে তল্লাশি চালাতে গেলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়৷ অবৈধ অস্ত্রের সন্ধানে এই তল্লাশি পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ৷ কিন্তু এতে বাধা প্রদান করে কয়েদিরা৷ টেলিভিশন ফুটেজে দেখা গেছে, কারাগারটি ঘিরে রেখেছে সেনারা৷ আর সেখান থেকে রক্তমাখা কাপড় পরা কয়েদিদের বাইরে বের করে আনা হচ্ছে৷
আইরিশ ভালেরি তল্লাশির প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘উরিবানা কারাগারে সাম্প্রতিক সহিংসতার কারণে তল্লাশি জরুরী হয়ে পড়ে৷ কারাগারটিকে পুরোপুরি অবৈধ অস্ত্রমুক্ত করতে এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়৷''
এদিকে, সেদেশের ভাইস প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরু এই সংঘর্ষকে ‘বিয়োগান্তক' আখ্যা দিয়ে জানিয়েছেন, এই বিষয়ে কর্তৃপক্ষ তদন্ত শুরু করেছে৷ তবে বিরোধী দল এই ঘটনার জন্য সরকারকে দায়ী করেছে৷ বিরোধী দলীয় নেতা এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হেনরিক্স কাপ্রিলেস দাবি করেছেন, ‘বর্তমান সরকার অক্ষম এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন'৷
প্রসঙ্গত, কারাগারের দুর্বল অবস্থার জন্য ভেনেজুয়েলার বেশ কুখ্যাতি রয়েছে৷ সেদেশের কারাগারগুলোতে ধারণক্ষমতার অনেক বেশি কয়েদি অবস্থান করছে৷ এসব কারাগারে সাকুল্যে ১৪,০০০ কয়েদির জায়গা থাকলেও সেখানে এখন অবস্থান করছে পঞ্চাশ হাজারের বেশি মানুষ৷
উল্লেখ্য, গত বছরের আগস্টে কারাকাসের কাছের একটি কারাগারে দুই গুণ্ডা দলের মধ্যে সংঘর্ষে প্রাণ হারায় ২৫ ব্যক্তি৷ এছাড়া ২০১১ সালে সেদেশের আরেকটি কারাগারে সংঘর্ষে প্রাণ হারায় বেশ কয়েকজন৷ এরকম সংঘর্ষ ভেনেজুয়েলায় বিরল নয়৷
এআই/এসি (এএফপি, রয়টার্স, ডিপিএ)