জিএসপি নিয়ে অনেক কাজ
৩ জুলাই ২০১৪যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য দপ্তরের (ইউএসটিআর) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশি পণ্যের অবাধ বাজার সুবিধা (জিএসপি) ফিরে পেতে শর্ত পূরণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ কিছু অগ্রগতি হলেও শ্রমিকদের অধিকার ও কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অবশ্যই আরও কাজ করতে হবে৷
তারা জানায়, বাংলাদেশ এ পর্যন্ত নতুন ১২০টি ট্রেড ইউনিয়নের নিবন্ধন দিয়েছে৷ ইউনিয়ন করার কারণে শ্রমিকদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দেয়া বন্ধ আছে৷ কিন্তু ইপিজেড এলাকায় শ্রমিক ইউনিয়ন গঠনের অধিকার এখনো দেয়া হয়নি৷ আর শ্রমিক হয়রানি এবং নির্যাতনও বন্ধ হয়নি৷
ত্রুটিপূর্ণ পোশাক কারখানা পরিদর্শন এবং সংস্কারের ব্যাপারে বলা হয়েছে, অ্যালায়েন্স এবং অ্যাকর্ড এক হাজারের বেশি পোশাক কারখানা পরিদর্শন করেছে৷ এর মধ্যে ২০টি কারখানা ত্রুটিপূর্ণ৷ কিন্তু এ সব কারখানা ভবন সংস্কার বা নতুন কারখানা ভবন স্থাপনে সরকারের পক্ষ থেকে তেমন কোন আগ্রহ দেখান হচ্ছে না৷ যুক্তরাষ্ট্র মনে করে, কয়েক'শ ত্রুটিপূর্ণ ভবন পরিদর্শনের বাইরে রাখা হয়েছে৷
রানা প্লাজা ধসের পর শ্রমিক অধিকার ও কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তার নাজুক পরিস্থিতির কারণে ২০১৩ সালের জুন মাসে বারাক ওবামা প্রশাসন সে দেশে বাংলাদেশি পণ্যের জিএসপি-সুবিধা সাময়িকভাবে স্থগিত করে৷ জিএসপি ফিরে পেতে বাংলাদেশ সরকারকে একটি কর্মপরিকল্পনা দেয় ওবামা প্রশাসন৷ এর শর্তগুলো পূরণের ওপর বাংলাদেশের জিএসপি-সুবিধা ফিরে পাওয়া নির্ভর করছে৷
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এ সব শর্ত বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সরকারের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করেছে ওবামা প্রশাসন৷ কিন্তু বাংলাদেশ সরকার এখনো ওই কর্মপরিকল্পনার উল্লেখযোগ্য অংশ বাস্তবায়ন করেনি৷
শ্রমিকদের অধিকার ও কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তার উন্নয়নে বাংলাদেশকে আরও কাজ করতে হবে বলে পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে৷
মার্কিন জিএসপি উপকমিটি ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশের অগ্রগতির পরবর্তী পর্যবেক্ষণ করবে৷
বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম ডয়চে ভেলেকে জানান, এ পর্যন্ত ১৫০টি নতুন শ্রমিক ইউনিয়ন গঠন করা হয়েছে৷ তবে কৌশলে শ্রমিকদের ইউনিয়ন থেকে বিরত রাখার প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে৷ তিনি বলেন, ইপিজেড এলাকায় ট্রেড ইউনিয়নের জন্য আইনের সংস্কার প্রয়োজন, তা করা হচ্ছে না৷
তিনি আরও জানান, ত্রুটিপূর্ণ ভবন সংস্কার বা নতুন ভবন নির্মাণ এবং শ্রমিক নিরাপত্তার ব্যাপারে মালিকদের এক ধরনের অনীহা আছে৷ তারা সংস্কার না করে কারখানা বন্ধ করে দিয়ে শ্রমিকদের বিপাকে ফেলছে৷