জার্মানির হামবুর্গে গুলি, নিহত আট
১০ মার্চ ২০২৩
গ্রস বরস্টেল ডিস্ট্রিক্টে জেহোভা উইটনেস কিংডম হলে ধর্মীয় জমায়েতের উপর গুলি চলে। স্থানীয় সময় রাত নয়টা নাগাদ এই ঘটনা ঘটে।
পুলিশের মুখপাত্র জানান, মৃতদের সকলের শরীরেই গুলি লেগেছিল। তবে কতজন মারা গেছেন তা শুরুতে জানা যায়নি।
পুলিশকে সঙ্গে সঙ্গে খবর দেয়া হয়। নয়টা পনেরো মিনিট নাগাদ তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। মুখপাত্রের দাবি, পুলিশ কাছেই ছিল। তাই তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়।
পুলিশের বক্তব্য, কেন এই গুলি চালানো হয়েছে, তা স্পষ্ট নয়। মুখপাত্র জানিয়েছেন, পুলিশ অফিসাররা ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখতে পান, নীচের তলায় একাধিক মানুষ মেঝেতে পড়ে আছেন। তারপর তারা দোতলা থেকে গুলির শব্দ শুনতে পান। দোতলায় গিয়ে দেখেন, একজন মানুষ রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন।
বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশের পাত্র জানান, দোতলায় মৃত ব্যক্তি সম্ভবত আক্রমণকারী। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে কোনো গুলি চালায়নি। আততায়ী পালিয়েছে এমন কোনো সূত্র বা প্রমাণ পুলিশ পায়নি। পুলিশ অফিসারদের ধারণা, হয় আক্রমণকারী মৃত বা সে ওই ভবনেই আছে।
তবে শুক্রবার সকালে পুলিশকে উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থা ডিপিএ হামলাকারীসহ মোট আট জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে৷
গুলির শব্দ
ঘটনার সময় পাশ দিয়ে যাওয়া এক ব্যক্তি এনটিভি-কে জানিয়েছেন, তিনি অন্তত বারোবার গুলির শব্দ শুনেছেন। সংবাদসংস্থা ডিপিএ-কে কাছেই থাকা একজন ছাত্র জানিয়েছে, একটু থেমে থেমে চারবার গুলি চলেছে। ২০ সেকেন্ড থেকে এক মিনিটের বিরতির পর একঝাঁক গুলি চালানো হয়েছে।
শহরের সেনেটর অ্যান্ডি গ্রোট বলেছেন, পুরো জায়গাটা নিরাপত্তারক্ষীরা ঘিরে রেখেছেন। ওই এলাকার মানুষকে বাড়ির ভিতর থাকতে বলা হয়েছে।
হামবুর্গের মেয়র জানিয়েছেন, অত্যন্ত শোকাবহ ঘটনা। নিরাপত্তা বাহিনী এই ঘটনার চক্রান্তকারীদের খুঁজে বের করতে কাজ করে যাচ্ছে।
জিএইচ/এসজি(এপি, এএফপি, রয়টার্স, ডিপিএ)