সরকার গড়ার পথে আবারো বিলম্ব
৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮সাধারণ নির্বাচনের চার মাস পরেও জার্মানিতে সরকার গঠন করা যখন সম্ভব হয়নি, তখন কোয়ালিশন চুক্তির জন্য সামান্য বিলম্বে কিছু এসে যাবে না – এমনই মনোভাব নিয়ে রবিবার গভীর রাত পর্যন্ত আলোচনার পরিকল্পনা বাতিল করলো সম্ভাব্য জোটসঙ্গীরা৷ তার বদলে ইউনিয়ন ও এসপিডি শিবিরের প্রতিনিধিরা সোমবার সকালে বকেয়া বিষয়গুলি নিয়ে রফায় আশার চেষ্টা করছেন৷ বাকি সব প্রশ্নে অগ্রগতি সত্ত্বেও মূলত কর্মসংস্থান ও স্বাস্থ্য বিষয়ে এখনো ঐকমত্য অর্জন করা সম্ভব হয়নি৷ এসপিডি দল চায়, অকারণে চাকরির মেয়াদ সীমিত না রেখে কর্মীদের জন্য স্থায়ী চাকরি নিশ্চিত করতে সরকার হস্তক্ষেপ করুক৷ তাছাড়া জার্মানিতে স্বাস্থ্য বিমার ক্ষেত্রে বেসরকারি বিমার বাড়তি কিছু সুবিধা দূর করে গোটা ব্যবস্থাকে সবার জন্য ন্যায্য করতে বদ্ধপরিকর তারা৷
সিডিইউ ও সিএসইউ দলের ইউনিয়ন শিবিরের পক্ষে এমন সব দাবি মেনে নেওয়া কঠিন৷ যে কোনো মূল্যে মহাজোট সরকার গঠন করতে তারা এসপিডি-র কাছে নতি স্বীকার করলে দু'দলেই চরম অসন্তোষ দেখা দিতে পারে৷ তাছাড়া এর আগে এসপিডি-র সঙ্গে বোঝাপড়ার ক্ষেত্রেও এই দুটি বিষয়ের উল্লেখ ছিল না৷
অন্যদিকে এসপিডি দল সরকারে যোগ দেবার বিতর্কিত সিদ্ধান্ত শুধু শীর্ষ নেতাদের হাতে ছেড়ে দিচ্ছে না৷ প্রতিটি পদক্ষেপের জন্য গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সম্মতি আদায় করে চলেছেন শীর্ষ নেতা মার্টিন শুলৎস৷ গত দলীয় সম্মেলনে কর্মসংস্থান ও স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে আরও ছাড় আদায় করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কোয়ালিশন চুক্তি নিয়ে আলোচনার ছাড়পত্র পেয়েছিলেন তিনি৷ শেষ পর্যন্ত কোয়ালিশন চুক্তি প্রস্তুত হলে দলের সাধারণ সদস্যরা ভোটের মাধ্যমে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন৷ জার্মানিতে এ যাত্রায় সরকার গঠন করা সম্ভব হবে কি না, সেটা প্রায় ৪ লক্ষ ৪০ হাজার এসপিডি সদস্যের রায়ের উপর নির্ভর করছে৷
ইউনিয়ন শিবির ও এসপিডি এখনো পর্যন্ত যে সব বিষয়ে ঐকমত্যে এসেছে, তার মধ্যে বেশ কয়েকটি বিষয় সাধারণ মানুষের পছন্দ হতে পারে৷ যেমন বর্তমানে বাসস্থান নিয়ে যে সংকট দেখা যাচ্ছে, তা দূর করতে কিছু পদক্ষেপ নিতে চায় তারা৷ বাড়িভাড়ায় রাশ টানতে ও বাড়ি কেনার ক্ষেত্রে আইন, সরকারি সুবিধা ও ভরতুকি চালু করতে চাইছে দুই শিবির৷ দ্রুতগতির ইন্টারনেট সংযোগ সারা দেশে ছড়িয়ে দিতেও কিছু পদক্ষেপের ঘোষণা করেছে তারা৷
এসবি/ডিজি (ডিপিএ, রয়টার্স)