সরকার গড়ার প্রস্তুতি
২২ জানুয়ারি ২০১৮রবিবার দলীয় সম্মেলনে সামান্য ব্যবধানে হলেও অনুমোদন পেয়ে এসপিডি মহাজোট গড়ার আলোচনা শুরু করতে অবশেষে প্রস্তুত৷ তাই ইউনিয়ন শিবিরে সাজসাজ রব৷ তবে সরকার গড়ার তাড়ার পাশাপাশি দর কষাকষির উত্তেজনাও রয়েছে৷ যে বোঝাপড়ার ভিত্তিতে দুই পক্ষ আদৌ সরকার গড়ার পথে অগ্রসর হবার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, ইউনিয়ন শিবির তারই ভিত্তিতে জোট নিয়ে আলোচনা করতে চায়৷ অন্যদিকে এসপিডি দলের মধ্যে আরও কিছু ছাড় আদায় করার জন্য চাপ রয়েছে৷ নতুন কোয়ালিশন চুক্তিতে দলের মূল বিষয়গুলি যথেষ্ট গুরুত্ব না পেলে এসপিডি সদস্যরা সেই চুক্তি অনুমোদন না-ও করতে পারেন৷ সেক্ষেত্রে তীরে এসে তরী ডুববে৷ অর্থাৎ চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল নতুন মহাজোট সরকার গড়তে ব্যর্থ হবেন৷
এমন প্রেক্ষাপটে দুই শিবিরই প্রবল চাপের মুখে৷ বিশেষ করে সিডিইউ ও সিএসইউ দলের ইউনিয়ন শিবির বড় শরিক হওয়া সত্ত্বেও ছোট শরিক এসপিডি দলকে সহজে আরও ছাড় দিতে প্রস্তুত নয়৷ তবে দুই পক্ষই দ্রুত জোট গড়ার আলোচনা শুরু করতে চায়৷ সোমবার সন্ধ্যায়ই সিডিইউ নেত্রী ম্যার্কেল, সিএসইউ নেতা হর্স্ট সেহোফার ও এসপিডি নেতা মার্টিন শুলৎস মিলিত হতে পারেন৷ তাঁরা জোট সংক্রান্ত আলোচনার কাঠামো স্থির করবেন৷ চলতি সপ্তাহেই আলোচনা শুরু হবার কথা৷ ইউনিয়ন শিবির ইস্টারের ছুটির আগেই স্থিতিশীল সরকার গঠন করার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে৷ চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল রবিবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, তাঁর ইউনিয়ন শিবির মহাজোট সরকার গড়ার আলোচনার জন্য প্রস্তুত৷
শেষ পর্যন্ত মহাজোট গড়া সম্ভব হলেও ম্যার্কেল, সেহোফার ও শুলৎস নিজ নিজ দলে আগের তুলনায় দুর্বল হয়ে পড়ছেন৷ দলের মধ্যে যথেষ্ট সমর্থন না থাকায় তাঁদের কর্তৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠছে৷ ফলে এমন এক সরকার ৪ বছর স্থায়ী হবে কিনা, তা নিয়ে অনেক মহলে সংশয় রয়েছে৷ চ্যান্সেলর হিসেবে ম্যার্কেল পূর্ণ মেয়াদ সম্পূর্ণ করবেন কিনা, সে বিষয়েও জল্পনাকল্পনা চলছে৷ তবে আপাতত জার্মানি তথা ইউরোপে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে নতুন সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে৷ এতকাল জার্মানির মহাজোট সরকারের দুই শরিক যেভাবে কাজ করে এসেছে, মহাজোটের নতুন সংস্করণেও তা অপরিবর্তিত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে৷
এসবি/এসিবি (ডিপিএ, এএফপি)
২০১৬ সালের এই ছবিঘরটি দেখুন..