জার্মানিতে ভ্যাকসিন দেয়ার শুরুতেই বিপত্তি
২৮ ডিসেম্বর ২০২০তৈরির পর থেকে নির্দিষ্ট রাজ্য বা শহর কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছানো পর্যন্ত বায়োনটেক-ফাইজার ভ্যাকসিন একটা নির্দিষ্ট ব্যবস্থায় প্রয়োজনীয় মাত্রায় ঠান্ডা রাখার কথা৷ সেই প্রক্রিয়ায় ভ্যাকসিন বিতরণে একেবারে শুরুর পর্যায়েই ধরা পড়েছে সমস্যা৷ দেখা যাচ্ছে, বেশ কিছু ক্ষেত্রে ভ্যাকসিন পর্যাপ্ত ঠান্ডায় রাখা যায়নি৷ এক বিবৃতিতে বাভারিয়ার লিশ্টেনফেলস জেলা কর্তৃপক্ষ বলেছে, কুল বক্সে ন্যূনতম যে তাপমাত্রার উল্লেখ করা হয়েছে তার সঙ্গে মেলাতে গিয়েই প্রথমে সমস্যাটা চোখে পড়ে৷
ভ্যাকসিন ঠান্ডা এবং কার্যকর রাখার জন্য মআরএনএ প্রযুক্তি ব্যবহার করে বায়োনটেক-ফাইজার৷ এর সহায়তায় ভ্যাকসিন কুল বক্সে রাখার আগ পর্যন্ত মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা মাইনাস ১১২ ডিগ্রি ফারেনহাইটের কাছাকাছি তাপমাত্রায় রাখাতে হয়্৷ আর আলট্রা-লো টেম্পারেচার, অর্থাৎ অতি শীতল তাপমাত্রা থেকে বের করে আনার পর ভ্যাকসিনগুলো দুই থেকে আট ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার মধ্যে রাখা অত্যাবশ্যক৷ সেভাবে রাখা হলে ভ্যাকসিন অন্তত পাঁচদিন কার্যকর থাকে৷
কিন্তু বাভারিয়ার লিশ্টেনফেলস জেলা কর্তৃপক্ষ একটা কুল বক্সের ভ্যাকসিন পেয়েছে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায়৷ এর ফলে অন্তত হাজার খানেক ডোজ এখন কার্যকারীতা হারানোর ঝুঁকিতে৷ ভ্যাকসিনগুলো এখন কাউকে দেয়া ঠিক হবে কিনা লিশ্টেনফেলস জেলা কর্তৃপক্ষ তা বুঝতে পারছে না৷ লিশ্টেনফেলসের এক মুখপাত্র জানান, এ বিষয়ে পরামর্শের জন্য বায়োনটেকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও এখনো কোনো সাড়া মেলেনি৷
বাভারিয়ার কোবুর্গ, ক্রোনাখ, কুল্মবাখ, হফ, বায়রয়েথ এবং ভুনজিডেল জেলা কর্তৃপক্ষও ভ্যাকসিন নিয়ে এখন একই সমস্যায়৷ প্রয়োজনের চেয়ে বেশি তাপমাত্রায় কুলবক্সে পাওয়া ভ্যাকসিন কাউকে দেয়া ঠিক হবে কিনা এ বিষয়ে তারাও সংশয়ে৷
এর আগে এক বিবৃতিতে বায়োনটেক জানিয়েছিল, জার্মানিরনির্ধারিত ২৫টি স্থানে ব্যবহারযোগ্য অবস্থায় ভ্যাকসিন পৌঁছে দেয়ার যাবতীয় দাযিত্ব তাদের৷ পৌঁছানোর পর সংরক্ষণ এবং ভ্যাকসিন দেয়ার কর্মসূচি শুরুর বিষয়টি সংশ্লিষ্ট রাজ্য বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বলেও সেই বিবৃতিতে জানানো হয়েছিল৷
এসিবি/কেএম (এএফপি, এপি, রয়টার্স, ডিপিএ)