জার্মানির বন্যা
১৬ জুন ২০১৩এলবে ও সালে নদীর পানি এখনও সরেনি৷ কোথাও বাঁধ ভেঙে পানি মাঠঘাট প্লাবিত করেছিল; কোথাও প্রশাসনের তরফ থেকেই রাস্তা খুঁড়ে পানি বের করে দিয়ে মাঠেঘাটে নিয়ে গিয়ে ফেলার ব্যবস্থা করা হয়েছিল৷ এখনও অনেক জায়গায় সেই পানি দাঁড়িয়ে৷ কোথাও আবার পানি ফিরে যাচ্ছে নদীখাতে৷ ধীরে ধীরে বোঝা যাচ্ছে, সংশ্লিষ্ট জনপদগুলিতে কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে৷
২০১৩ সালের বন্যা ২০০২ সালের বন্যার মতো ভয়াবহ না হলেও, মনে রাখতে হবে, এবারের বন্যা ঘটেছে প্রায় একই অঞ্চলে এবং একই রাজ্যগুলিতে৷ কাজেই ২০০২ সালে যারা বন্যায় সব কিছু হারিয়েছিলেন এবং পরে সাহায্য, ঋণ, নিজের সামর্থ্য, এ সব মিলিয়ে আবার বাড়ি-ঘর. ক্ষেত-খামার, দোকান-কারখানা-রেস্তরাঁ গড়ে তুলেছিলেন – তারাই আবার ঠিক ১১ বছর পরে সেই দুঃসহ পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছেন৷
২০০২ সালের বন্যার পর ত্রাণ তহবিলের আয়তন ছিল ৬৫০ কোটি ইউরো৷ এবার সেটাকে বাড়িয়ে করা হচ্ছে ৮০০ কোটি ইউরো৷ পরে ক্ষতির পরিমাণ বুঝে আরো সাহায্য কি ঋণের ব্যবস্থা করা হবে৷ ত্রাণ তহবিলের জন্য সরকারি বন্ড ইস্যু করার কথা ভাবছেন সরকার৷ সাপ্লিমেন্টারি বাজেট তৈরি করেও অর্থসংস্থানের ব্যবস্থা করা যেতে পারে৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নও দৃশ্যত সাহায্য করবে৷
বন্যাপীড়িতরা আপাতত স্থানান্তরিত অবস্থাতেই ৪০০ ইউরো করে হাতে পাচ্ছেন তাৎক্ষণিক সাহায্য হিসেবে৷ পরে তারা অনুরূপ সহজভাবে মোট এক হাজার ইউরো এককালীন অর্থসাহায্য পাবেন৷ তারপরে আসবে বাড়িঘর সারানোর জন্য সাহায্য, অনুদান ও ঋণ – কিন্তু তার জন্য বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থায় আবেদনপত্র জমা দিতে হবে৷
এক কথায়, জার্মানির মতো দেশে বন্যা শুধু একক মানুষ কিংবা জনপদের বিপদ নয়, দায় নয়৷ গোটা দেশ সে ভার বহণ করার জন্য এগিয়ে আসে, কাঁধে কাঁধ মেলায়৷