জার্মানিতে ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতকে হয়রানির অভিযোগ
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪বুধবার পুলিশের এক মুখপাত্র জানান, তারা ঘটনার তদন্ত করছেন৷ তবে ঘটনার খুব বেশি বিস্তারিত জানাননি তারা৷
স্থানীয় পত্রিকাগুলোর খবরে জানা গেছে, প্রসোরের একটি ব্যক্তিগত সাক্ষাতের সময় এক দল ব্যক্তি তাকে বাধা দেন৷ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, ফিলিস্তিনপন্থি ঐ আন্দোলনকারীরা প্রসোরের উদ্দেশ্যে চিৎকার করছে৷
প্রসোরের সঙ্গে এ সময় একাধিক দেহরক্ষী ছিলেন৷ তারা বিক্ষোভকারীদের প্রসোরের কাছে আসতে দেননি৷
প্রসোরের হাতে গাজার রক্ত লেগে আছে বলে অভিযোগ করেন তারা৷ সেখানে বলতে শোনা যায়, ‘‘লুকাতে পারবেন না রন প্রসোর৷ আমরা আপনাকে গণহত্যার অভিযোগে অভযুক্ত করছি৷''
একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়: বার্লিন মেয়র
বার্লিন মেয়র কাই ভেগনার ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন৷ রাষ্ট্রদূত অক্ষত ছিলেন বলে তিনি স্বস্তি প্রকাশ করেন৷
‘‘ইসরায়েলের লোকজনকে এভাবে ব্যক্তিগতভাবে হয়রানি ও হুমকি দেয়া কোনো ভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়,‘‘ বলেন ভেগনার৷ তিনি যোগ করেন, ‘‘বার্লিন কোনো রকমের বিদ্বেষ ও উস্কানি মেনে নেবে না এবং এখানকার সমাজ, বিদ্যাপীঠ বা কোথাও ইহুদিবিদ্বেষের ঘটনা ঘটলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে৷''
ইসরায়েলের সমালোচকরা দেশটি গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ফিলিস্তিনের ওপর গণহত্যা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন৷ এমনকি আন্তর্জাতিক আদালত আইসিজেতে দেশটির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে৷ ইসরায়েল অবশ্য এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে৷
হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসেবে, ইসরায়েল সেনা অভিযান শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ৩০ হাজার ফিলিস্তিনি মারা গেছেন৷ তারা অবশ্য হামাস যোদ্ধা ও সাধারণ মানুষের মধ্যে কোনো পার্থক্য দেখায়নি৷ অন্যদিকে, ইসরায়েল বলছে, ১০ হাজার জঙ্গি হত্যা করা হয়েছে, যদিও স্বপক্ষে কোনো প্রমাণ হাজির করেনি৷
ইসরায়েল বলছে, ইসরায়েলের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় মাসাকারের পর আত্মরক্ষায় গাজায় তাদের অভিযানে কোনো ভুল নেই৷ গত ৭ অক্টোবর হামাস ও অন্য সন্ত্রাসী সংগঠনের সদস্যরা ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে এক হাজার ২০০ জনকে হত্যা করেন এবং ২৫০ জনকে তুলে নিয়ে যান৷
হামাসকে ইসরায়েল, জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র ও আরো কয়েকটি দেশ সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করেছে৷
জেডএ/এসিবি (ডিপিএ, এএফপি)