1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মান ফুটবল ফেডারেশনে পরিবর্তন আসন্ন

৮ ডিসেম্বর ২০১১

আগামী বছর জার্মান ফুটবল ফেডারেশন -- ডিএফবি’র শীর্ষ পদে পরিবর্তন আসবে৷ গত সপ্তাহে ফেডারেশনের বর্তমান প্রেসিডেন্ট থিও সোয়ানসিগার পদত্যাগের পরিকল্পনার কথা জানান৷ তাঁর স্থলাভিষিক্ত হবেন বর্তমান মহাসচিব ভল্ফগাং নিয়ার্সবাখ্৷

https://p.dw.com/p/13OfJ
ভল্ফগাং নিয়ার্সবাখ্ছবি: picture-alliance/dpa

গত সপ্তাহের থেও সোয়ানসিগার জানান, নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষ হওয়ার এক বছর আগেই, আগামী অক্টোবরে পদত্যাগ করবেন তিনি৷ ২০০৪ সাল থেকে ডিএফবি'র শীর্ষ পদে রয়েছেন তিনি৷ আছেন ফিফা'র নির্বাহী কমিটিতেও৷ জার্মান ফুটবল ফেডারেশন থেকে আগামী বছর পদত্যাগ করলেও ফিফা কমিটিতে ২০১৫ সাল অবধি থাকতে চান তিনি৷

এদিকে, থেও সোয়ানসিগারের স্থলাভিষিক্ত কে হবেন, তা নিয়ে খুব বেশি আলোচনার বোধহয় প্রয়োজন পড়ল না৷ বুধবার ফেডারেশনের মহাসচিব ভল্ফগাং নিয়ার্সবাখ্ জানান, তিনি আগামী বছর ডিএফবি'র সংশ্লিষ্ট কংগ্রেসে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হতে প্রস্তুত৷

সোয়ানসিগার নিজেও তাঁর উত্তরসূরি হিসেবে তাঁকেই ভেবেছেন৷

নিয়ার্সবাখ্ বলেন, এই দায়িত্ব নেওয়াটা অনেক সম্মানের ব্যাপার৷ এটা আমার জন্য এক বড় পদক্ষেপ৷

নিয়ার্সবাখ্'এর এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন জার্মান ফুটবল কোচ ইওয়াখিম ল্যোভ এবং জার্মান ফুটবল লিগের প্রধান রাইনহার্ড রাওবেল৷ ল্যোভ বলেন, পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ফুটবল ফেডারেশনকে এক নতুন যুগে এগিয়ে নেওয়ার সব যোগ্যতাই তাঁর রয়েছে৷

বলাবাহুল্য, ডিএফবি হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় একক ফুটবল ফেডারেশন৷ এর সদস্য সংখ্যা সাতষট্টি লাখ৷

ক্রীড়া সাংবাদিকতা ছেড়ে ১৯৮৭ সালে ডিএফবিতে যোগ দেন ভল্ফগাং নিয়ার্সবাখ্৷

ইউরো ১৯৮৮ আয়োজক কমিটির মুখপাত্র ছিলেন তিনি৷ ফুটবল ফেডারেশনের মিডিয়া পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন নিয়ার্সবাখ্৷ ২০০৬ বিশ্বকাপের আয়োজক কমিটির ভাইস-প্রেসিডেন্ট ছিলেন তিনি৷ ২০০৭ সাল থেকে ডিএফবি মহাসচিবের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন নিয়ার্সবাখ্৷

এদিকে, ২০২২ সালের বিশ্বকাপ ফুটবলের আয়োজক হিসেবে কাতারকে এখনো মানতে পারছেন না থেও সোয়ানসিগার৷ তিনি দাবি করেন, এক্ষেত্রে আয়োজক দেশ নির্বাচনের সাধারণ নিয়মকানুন ‘বিকৃত' করা হয়েছে৷ সোয়ানসিগার বলেন, ‘‘আমি কখনোই বুঝতে পারিনি, কিভাবে কাতারের মত একটি ছোট্ট দেশ পৃথিবীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ক্রীড়া আসর আয়োজনের অনুমতি পেল, বিশেষ করে এই সিদ্ধান্তের পূর্বে কাতারের অবস্থান ছিল ব়্যাংকিংয়ে সবার নিচে''৷

কাতার অবশ্য এক্ষেত্রে কোন অনিয়মের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে এবং জানিয়েছে, স্বচ্ছভাবেই বিশ্বকাপ আয়োজনের স্বত্ব জয় করেছে সেদেশ৷

প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক