জার্মান পত্র-পত্রিকায় অধ্যাপক ইউনুস
২৮ নভেম্বর ২০১০এমন অনেকে আছে যারা ক্ষুদ্রঋণের ধারণাটার অপব্যবহার করছে, স্পষ্ট অনুযোগ অধ্যাপক ইউনুসের৷ জার্মানির বন্দর নগরী হামবুর্গ থেকে প্রকাশিত সম্ভ্রান্ত সাপ্তাহিক পত্রিকা ‘ডি ৎসাইট' কে দেয়া এক দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে তিনি ক্ষুদ্রঋণ সংস্থাগুলোর জন্য সীমানা ও বিধিনিয়মের কথা বলেছেন তিনি৷ এই সীমানা যে অতিক্রম করবে, সে ক্ষুদ্রঋণ কথাটারই অপনাম করবে, মনে করেন ইউনুস৷
‘ডি ৎসাইট' ক্ষুদ্রঋণের ক্ষেত্রে এক দিশারী বলে অভিহিত করেছে মুহাম্মদ ইউনুসকে৷ পত্রিকা লিখছে:
নিজের সাফল্য নিয়ে এখনও বিস্ময় তাঁর, যদিও বাংলাদেশের এই বিনয়ী মানুষটি বহু দিন থেকেই বিশ্বের তারকাপুরুষদেরই একজন৷ ক্ষুদ্রঋণ দিয়ে দরিদ্র নারীদের সাহায্য করার ধারণাটির বাস্তব রূপায়নের স্বীকৃতি হিসেবে ২০০৬ সালে তিনি পান নোবেল শান্তি পুরস্কার৷ তারপর থেকেই ইউনুস সারা দুনিয়ায় ঘুরে ঘুরে দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াই চালানোর কথা বলে যাচ্ছেন৷ বেশ কিছুকাল থেকে ক্ষুদ্রঋণের চেয়েও বেশি কিছু দেয়াটাই তাঁর ঈপ্সিত লক্ষ্য৷ তিনি জোর দিয়ে বলছেন ‘সোশাল বিজনেস''এর কথা৷ এই ব্যবসা চালাতে হবে ম্যানেজমেন্ট-এর নিয়ম মেনে৷ লাভ ছাড়লে চলবেনা৷ তবে তার কল্যাণমুখী উদ্দেশ্য পূরণ করতে হবে৷ এই লক্ষ্য নিয়েই ইউনুস ডা নোন, বিএএসএফ, ভেয়োলিয়া ও আডিডাস-এর সঙ্গে সহযোগিতা করছেন৷ জার্মানির হেসে রাজ্যের ভিসবাদেন শহরে তাঁকে সমর্থন যোগাচ্ছে ‘গ্রামীণ ক্রিয়েটিভ ল্যাব'৷ সেখানকার ইউরোপিয়ান বিজনেস স্কুলে সৃষ্টি হয়ছে ‘সোশাল বিজনেস' এর প্রথম ইউরোপীয় চেয়ার৷
ক্ষুদ্রঋণের যাতে অপব্যবহার না ঘটে তার জন্য সুষ্ঠু নিয়মবিধি অধ্যাপক ইউনুসের কাম্য৷ ভারতে ক্ষুদ্রঋণ গ্রহীতাদের মাঝে আত্মহত্যার ঘটনা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের উত্তরে অধ্যাপক ইউনুস বলেন, ভারতে হাজার হাজার ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি রয়েছে৷ কিন্তু সুষ্ঠু কোন নিয়মনীতি নেই৷ তিনি বলেন, অনেক চেষ্টায় বাংলাদেশে তা অর্জন করা গেছে৷ রয়েছে আইন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ৷ এই কর্তৃপক্ষ ক্ষুদ্রঋণ সংস্থাগুলোর ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন মান নিশ্চিত করে থাকে৷ এরকম কিছু অবশ্যই ভারতে হওয়া দরকার বলে অধ্যাপক ইউনুস মনে করেন৷
প্রতিবেদন: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ