জঙ্গি সংগঠনের নারী সদস্যের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
১১ জুলাই ২০১৮মিউনিখের স্টেট আদালতে বুধবার এই রায় দেন৷ বেয়াটের বিরুদ্ধে ২০০০ থেকে ২০০৭ সালের মধ্যে তিনি দশটি খুন, দু'টি বোমা হামলা এবং বেশ ক'টি হত্যা চেষ্টা ও ডাকাতির অভিযোগ প্রমাণিত হয়৷
জঙ্গি সংগঠন এনএসইউ প্রতিষ্ঠার অভিযোগও প্রমাণিত হয় তার বিরুদ্ধে৷
বিচারক মানফ্রেড গোয়েৎসল বলেছেন যে, ‘অত্যন্ত গুরুতর অপরাধে' জড়িত ছিলেন বেয়াটে৷ এর অর্থ ৪৩ বছর বয়সি এই নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, যার সর্বনিম্নমেয়াদ ১৫ বছর, তার থেকেও বেশি কারাভোগ করতে হবে৷
তাকে বন্দুক সরবরাহ করতেন রাল্ফ ভোহ্লেবেন৷ এই বন্দুক দিয়েই সবগুলো খুন করেছেন বেয়াটে৷ রাল্ফকে ১০ বছরের কারাবাস দিয়েছেন আদালত৷
এটি বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী যে কোনো মামলার চেয়ে বেশি সময় নিয়ে নিষ্পত্তি হওয়া মামলা৷ পাঁচ বছর ধরে মোট ৪৩০ দিনের শুনানিতে কয়েকশ' মানুষের জবানবন্দি নেয়ার পর আদালত রায় দিলেন৷
বেয়াটে-র এনএসইউ নামের জঙ্গি সংগঠনটির হত্যার শিকার হওয়া দশজনের নয় জনই অভিবাসী এবং একজন পুলিশ অফিসার৷
রায়ের পরপরই অনেক রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠন ও আইনজীবীরা বিবৃতি দেন৷ তারা বলেন, এই রায়ের মাধ্যমে বিষয়টি এখানেই শেষ বলে ধরে নেয়া যাবে না৷ জার্মানির নব্য নাৎসি জঙ্গি তৎপরতার বিরুদ্ধে আরো তদন্ত দরকার৷
তুর্কি অভিবাসীদের সংগঠন টিজিডি-র এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘‘আঙ্গেলা ম্যার্কেল ও অনেকেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে একটি পূর্ণ তদন্ত করা হবে৷ কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করা হয়েছে৷''
জার্মানির সাবেক বিচার মন্ত্রী ও বর্তমান পররাষ্ট্র মন্ত্রী হাইকো মাস টুইট করেন, ‘‘অপরাধীরা যা করেছে, তার প্রায়শ্চিত্ত কখনো হবে না৷ যারা হত্যার শিকার হয়েছেন, তাদের ভুলব না৷'' তিনি হ্যাশট্যাগ দিয়েছেন ‘নো কনক্লুশান' বা কোনো সিদ্ধান্ত নয়৷
অনেক আইনজীবীও বিষয়টি পরিপূর্ণ তদন্ত করা হয়নি বলে হতাশা প্রকাশ করেছেন৷ হত্যার শিকার ব্যাক্তিদের পরিবারগুলোর সদস্যরাও রায়ে খুশি হননি৷
এনএসইউ নামের সংগঠনটি বহু আগে থেকে তাদের তৎপরতা চালালেও কেবল ২০১১ সালের ৪ নভেম্বর একটি ঘটনাক্রমে এ সম্পর্কে জানতে পারে পুলিশ৷ একটি ব্যাংক ডাকাতির প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলে এই সংগঠনের অপর দুই সদস্য আত্মহনন করেন৷ এর চারদিন পর বেয়াটেও পুলিশের কাছে ধরা দেন৷
জেডএ/ডিজি (ডিপিএ, এএফপি)