1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জনসনের ব্রেক্সিটে ‘পথের কাঁটা' ব্রিটিশ সংসদ

৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯

চুক্তিহীন ব্রেক্সিট ও সরকারের আগাম নির্বাচনের উদ্যোগের বিপক্ষে রায় দিল ব্রিটিশ সংসদ৷ ফলে আরও কোণঠাসা হয়ে পড়লেন প্রধানমন্ত্রী জনসন৷ ইইউ শীর্ষ সম্মলনের আগে নির্বাচন চায় না বিরোধীরা৷

https://p.dw.com/p/3P1xN
ব্রিটিশ সংসদে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন
ছবি: picture-alliance/dpa/AP/House of Commons/J. Taylor

যে সংসদকে ‘নিষ্ক্রিয়' করে নিজের লক্ষ্য পূরণ করতে চেয়েছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, তার সঙ্গে একের পর এক সংঘাতে হেরে যাচ্ছেন তিনি৷ বুধবারও তাঁকে একাধিক বিষয়ে পরাজয় মেনে নিতে হয়েছে৷ আগামী কয়েক দিনেও বরিস জনসনকে তাঁর ঘোষিত নীতির পথ থেকে সরে আসতে হবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷

আগামী ১৭ ও ১৮ই অক্টোবর ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ সম্মেলনে ব্রেক্সিট সম্পর্কে আগামী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে৷ পরিকল্পনা অনুযায়ী বরিস জনসনের সরকার হয় তার আগে ইইউ-র সঙ্গে বোঝাপড়া করতে সক্ষম হবে, অথবা ৩১শে অক্টোবর ব্রিটেন চুক্তি ছাড়াই ইইউ ত্যাগ করবে৷ এই শীর্ষ সম্মেলনকে কেন্দ্র করেই ব্রিটেনের সংসদে ঐক্যবদ্ধ বিরোধী পক্ষ ও সরকার পক্ষের কয়েকজন ‘বিদ্রোহী' সংসদ তাঁদের রণকৌশল স্থির করেছেন৷ বুধবার তাঁরা চুক্তিহীন ব্রেক্সিট এড়াতে সংসদে একটি প্রস্তাব অনুমোদন করতে সক্ষম হয়েছেন৷ ফলে ১৯শে অক্টোবরের মধ্যে ইইউ-র সঙ্গে বোঝাপড়া না হলে সরকারকে ব্রেক্সিটের মেয়াদ আরও তিন মাস বাড়ানোর আবেদন করতে হবে৷ নিম্ন কক্ষের পর উচ্চ কক্ষেরও সম্মতি প্রয়োজন৷ তারপর রানি সাক্ষর করলে এই প্রস্তাব আইন হিসেবে কার্যকর হবে৷ কিন্তু হাউস অফ লর্ডস এর মধ্যেই ৯০টি সংশোধনীসহ প্রস্তাবটি আবার হাউস অফ কমন্সে ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়ায় গোটা প্রক্রিয়ায় বিলম্ব ঘটতে পারে৷ সবকিছু ঠিকমতো চললে আগামী সোমবার এই প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হতে পারে৷

এই অবস্থায় বিরোধীরা জনসনের উপর আস্থা রাখতে পারছেন না৷ প্রধানমন্ত্রী ১৫ই অক্টোবর আগাম নির্বাচনের যে প্রস্তাব পেশ করেছিলেন, লেবার পার্টির সংসদ সদস্যরা ভোটদানে বিরত থাকায় বুধবার সংসদে সেটি পাশ হয় নি৷ চুক্তিহীন ব্রেক্সিট নিশ্চিত হওয়া পর্যন্ত বিরোধী পক্ষ নির্বাচনের পক্ষে সমর্থন জানাতে প্রস্তুত নয়৷ তাছাড়া ইইউ শীর্ষ সম্মেলনের আগে তাঁরা কোনোমতেই নির্বাচন চান না৷ বরিস জনসনের ব্রেক্সিট নীতির চূড়ান্ত ফলাফল স্পষ্ট হবার পরেই জনগণের রায় জানতে চান বিরোধীরা৷ তাছাড়া ১৫ই সেপ্টেম্বর নির্বাচন হলে এবং তাতে জনসন জয়লাভ করলে তিনি চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের প্রস্তাব বাতিল করতে পারেন, বিরোধী এমন আশঙ্কাও উড়িয়ে দিতে পারছে না৷

প্রধানমন্ত্রী জনসন বিরোধীদের এই অবস্থানের তীব্র সমালোচনা করেছেন৷ তাঁর ব্রেক্সিট সংক্রান্ত পরিকল্পনা বানচাল করে সংসদ কার্যত ব্রাসেলসের সঙ্গে দরকষাকষি বন্ধ করে দিয়ে ইইউ-র হাতেই ক্ষমতা তুলে দিচ্ছে৷ তাছাড়া এই প্রস্তাবের মাধ্যমে ব্রেক্সিটের পক্ষে গণভোটের রায়ও উপেক্ষা করা হচ্ছে বলে তিনি দাবি করেন৷ বিরোধীদের সঙ্গে হাত মেলানোর কারণে টোরি দল ২১ জন সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিয়েছে৷

ব্রিটিশ রাজনীতির এমন উত্তাল পরিস্থিতি সত্ত্বেও ইইউ অবিচল রয়েছে৷ ব্রাসেলসে ইইউ কূটনীতিকরা আবার জানিয়ে দিয়েছেন, যে ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে কোনো উল্লেখযোগ্য আলোচনার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না৷ আয়ারল্যান্ড মনে করিয়ে দিয়েছে, যে জনসনের সরকার এখনো ব্যাকস্টপ ব্যবস্থার কোনো বিকল্প সমাধানসূত্র পেশ করে নি৷

এসবি/কেএম (ডিপিএ, রয়টার্স)