জঙ্গিরা হারুক, পাকিস্তানও হারুক
২৩ জানুয়ারি ২০২০মাহমুদুল্লাহদের নিরাপদ সফর অবশ্য শুধু বাংলাদেশের মানুষেরই একান্ত কাম্য নয়, পাকিস্তান সরকার এবং বিশ্বের সব শান্তিকামী মানুষও তা-ই চান৷
তাই এক্ষেত্রে অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে সবাই ঐক্যবদ্ধ, এ কথা বলতেই পারি৷
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে দেশে ফেরানোর লড়াইটা শেষ করতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী, কিংবদন্তি ক্রিকেটার ইমরান খান এবং তাঁর সরকার যে মরিয়া সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই৷ সেকারণে নিরাপত্তার খুব ভালো ব্যবস্থাই নেয়া হয়েছে৷
পাকিস্তানের পুলিশ সংবাদ সম্মেলন করে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক বিবৃতিও দিয়েছে৷ বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, স্টেডিয়ামে থাকবে তিন স্তরের নিরাপত্তা৷ ক্রিকেটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্বে থাকবে ১৭টি সুপার পুলিশ ডিভিশন এবং ৪৮টি ডেপুটি সুপার পুলিশ ডিভিশন৷
২০১৯ সালে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল, বাংলাদেশ নারী দল এবং শ্রীলঙ্কার টি-টোয়েন্টি, ওয়ানডে ও টেস্ট দলও পাকিস্তান সফর করছে৷ কোনো সফরে কোনো সমস্যাই হয়নি৷ তিন ধাপে সাজানো বাংলাদেশ দলের পাকিস্তান সফরকে সমস্যামুক্ত রাখতেও সব চেষ্টাই করছে পাকিস্তান সরকার৷
তারপরও যেটুকু শঙ্কা থাকবে তা দূরে সরিয়েই খেলতে হবে৷ এটাই পেশাদারিত্ব৷ আগের দলগুলো এই পেশাদারিত্ব দেখাতে পেরেছে, মাহমুদুল্লাহর নেতৃত্বে বর্তমান দলটাও তা পারবে৷
আর এইটুকু পারলে মাঠের খেলাটাও সহজ হয়ে যাবে৷ খেলায় সাফল্যের প্রথম শর্তই তো চাপমুক্ত থাকা৷
২০১৯ সালে একেবারে চাপমুক্ত খেলা খেলেই টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করেছে শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় সারির একটা দল৷
ওই দলের তুলনায় সাকিব, মুশফিকুরবিহীন মাহমুদুল্লাহর দলটা তো যথেষ্ট ভালো৷
এই সিরিজে বাংলাদেশের প্রেরণা হতে পারে ভারতের বিপক্ষে খেলা সর্বশেষ সিরিজ৷ ভারতে তিন ম্যাচের সেই সিরিজ ২-১-এ হেরেছিল মাহমুদুল্লাহর দল৷ বিপরীতে পাকিস্তানের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স কিন্তু একেবারে জঘন্য৷ ২০১৯ সালে দশ ম্যাচ খেলে আটটিতেই হেরেছে, জিতেছে মাত্র একটিতে৷ সাফল্যের ধারায় ফিরতে সাতজন নতুনকে নিয়ে দল সাজিয়েছেন নির্বাচকরা৷ ভারতকে ভারতে হারানো সম্ভব হলে পাকিস্তানে এমন দলকে হারাতে পারবে না কেন বাংলাদেশ?