জঙ্গি তৎপরতার পিছনে ব্রিটিশ জিহাদিরা
১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫জঙ্গি বিষয়ক গবেষক মানবাধিকার কর্মী নূর খান ডয়চে ভেলে বলেন, ‘‘বাংলাদেশে একাধিক ব্রিটিশ জিহাদি এর আগে ধরা পড়েছে৷ ২০০৬ সালের পর থেকে ব্রিটেনের গোয়েন্দারা বাংলাদেশ থেকে বেশ কিছু বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ জিহাদিকে এখান থেকে আটক করে নিয়ে গেছে৷ তাই তাদের যে প্রভাব এখানে আছে, তা স্পষ্ট৷''
অন্যদিকে নিরাপত্তা বিশ্লেষক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুর রশীদ (অব.) ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘লন্ডনে, বিশেষ করে পূর্ব লন্ডনে বসবাসরত বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগারিকদের একটি অংশ চ্যারিটি এবং এনজিও-র নামে অর্থ সংগ্রহ করে তা বাংলাদেশে জঙ্গি তৎপরতায় ব্যবহার করে৷ যুদ্ধাপরাধের মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত এবং ব্রিটেনে আশ্রয়প্রাপ্ত চৌধুরী মইনুদ্দিন তাদেরই একজন৷''
তিনি আরো বলেন, ‘‘বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অন্তত ৩০ জন ব্রিটিশ নাগরিক সিরিয়ায় গিয়ে আইএস-এ যোগ দিয়েছে৷ এখান থেকেও সরাসরি গেছে অনেকে৷'' তাই আব্দুর রশীদের কথায়, ‘‘জঙ্গি দমনে বাংলাদেশ ও ব্রিটেনের একসঙ্গে কাজ করা উচিত৷''
শুধু তাই নয়৷ এর সঙ্গে বাংলাদেশে একটি গণতান্ত্রিক পরিবেশ দরকার৷ কারণ ‘‘গণতান্ত্রিক পরিবেশ না থাকায় সবচেয়ে বেশি জঙ্গিবাদের হুমকির মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ৷'' এ মন্তব্যও নূর খানের৷