চীনে জাহাজডুবি
২ জুন ২০১৫সোমবার রাত্রেই পাঁচটি মৃতদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে৷ পাঁচশ’ যাত্রী ধরবার মতো বড় জাহাজটি পূর্ব চীনের নানজিং শহর থেকে দক্ষিণ পশ্চিমের চংকিং শহর অভিমুখে যাচ্ছিল৷ চংকিং ইস্টার্ন শিপিং কর্পোরেশনের জাহাজটি সাধারণত টুরিস্টদের তথাকথিত ‘থ্রি গর্জেস' বা ‘তিন গিরিসংকট' এলাকার মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্য ঘুরিয়ে দেখায়৷ ছ'হাজার তিনশো কিলোমিটার লম্বা ইয়াংৎসে চীনের দীর্ঘতম নদী৷
এ যাত্রাতেও জাহাজে শাংহাই-এর একটি ট্র্যাভেল এজেন্সির ৪০৬ জন টুরিস্ট ছিলেন বলে প্রকাশ, যাদের বয়স ৫০ থেকে ৮০-র মধ্যে৷ এছাড়া পাঁচজন ট্র্যাভেল এজেন্সির কর্মী ও ৪৭ জন মাল্লা৷ জাহাজের ক্যাপ্টেন এবং চিফ ইঞ্জিনিয়ার, দু'জনেই প্রাণে বেঁচেছেন৷ পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জেনেছে, জাহাজটি একটি ‘সাইক্লোনে', অর্থাৎ ঘূর্ণিঝড়ে মিনিট দু'য়েকের মধ্যে ডুবে যায়৷ এমনকি জাহাজ থেকে বিপদসংকেত পাঠানোরও সময় পাওয়া যায়নি৷
আড়াইশো ফুট লম্বা জাহাজটি ডোবে মধ্য চীনের হুবাই প্রদেশের জিয়ানলি এলাকায়৷ ডোবার পর জাহাজটি আরো তিন কিলোমিটার ভেসে গেছে, জলের ওপর জাহাজের তলাটা শুধু বেরিয়ে রয়েছে৷ জলের গভীরতা এখানে প্রায় ১৫ মিটার৷ টিভি ফুটেজে দেখা গেছে, ত্রাণকর্মীরা হাতুড়ি দিয়ে ঠুকে ঠুকে ভিতরে জীবিতরা আটকা পড়ে রয়েছেন কিনা, তা জানার চেষ্টা করছেন৷ দৃশ্যত তারা জবাবে ভিতর থেকে আওয়াজও পেয়েছেন৷ এ'ভাবে তিনজনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে, বলে জানিয়েছে হুবাই ডেইলি পত্রিকা৷
চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং উদ্ধারকাজে সর্বসাধ্য প্রয়োগ করার নির্দেশ দিয়েছেন৷ প্রধানমন্ত্রী লি কেচিয়াং মঙ্গলবারেই অকুস্থলে পৌঁছেছেন৷ হুবাই ডেইলি'র খবর অনুযায়ী একশো জেলেনৌকা সহ মোট দেড়শো বোট এবং নৌকা ও তিন হাজারের বেশি মানুষ উদ্ধারকাজে সংশ্লিষ্ট৷ বিশজনের বেশি ডুবুরিকে পাঠানো হচ্ছে জাহাজের অভ্যন্তরে আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধার করার জন্য৷
এসি/জেডএইচ (এএফপি, রয়টার্স)