1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে লঞ্চ ডুবি

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা৪ আগস্ট ২০১৪

বাংলাদেশে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাইয়ের কারণে আরো একটি লঞ্চ দুই শাতাধিক যাত্রী নিয়ে পদ্মায় ডুবে গেছে সোমবার৷ উদ্ধারকাজ অবশ্য শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই৷ দুপুর পর্যন্ত ১৫টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে খবর৷

https://p.dw.com/p/1CoQB
Bangladesch Fähre Fährunglück Unglück Suchaktion Suche
ছবি: picture-alliance/AP

সোমবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া-কাওড়াকান্দি নৌ-পথে মাওয়া ঘাটে পদ্মা দেড় শতাধিক যাত্রী নিয়ে পিনাক-৬ নামের লঞ্চটি ডুবে যায়৷ লঞ্চটি শরীয়তপুরের কাওড়াকান্দি থেকে মাওয়া লঞ্চঘাটে যাচ্ছিল৷

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কতৃপক্ষ বিআইডাব্লিউটিএ ডয়চে ভেলেকে জানায়, ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী থাকায় প্রচণ্ড স্রোতের কবলে পড়ে লঞ্চটি ডুবে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷

Bangladesch Fähren an Eid al-Fitr
প্রচণ্ড স্রোতের কবলে পড়ে লঞ্চটি ডুবে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছেছবি: picture-alliance/dpa

লঞ্চটি মাওয়া আসার পথে মাঝনদীতে ডুবে যায়৷ বিআইডাব্লিউটিএ এবং বিআইডাব্লিউটিসি-র টাগ-বোটের সাহায্যে উদ্ধারকাজ চলছে৷ উদ্ধারকারী জাহাজ রুস্তম ঘটনাস্থলে রওয়ানা দিয়েছে৷ এছাড়া উদ্ধার অভিযানে অংশ নিতে ব়্যাবের হেলিকপ্টার ও ডুবুরি পাঠানো হয়েছে বলে ব়্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল জিয়াউল আহসান জানিয়েছেন৷

মাওয়া পুলিশ ফাঁড়ির কর্মকর্তা খালিদ হোসেন জানান, দুপুর পর্যন্ত ঘটনাস্থল থেকে ১৪ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে৷ তবে তাঁদের পরিচয় জানা যায়নি৷ এছাড়া আরো ১১০ জন যাত্রীকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গেছে৷

বাংলাদেশে ঈদের আগে ও পরে এ নিয়ে চারটি বড় ধরণের লঞ্চ দুর্ঘটনা ঘটল৷ গত ১৫ই মে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ার দৌলতপুরের কাছে মেঘনা নদীতে ঝড়ের কবলে পড়ে এমভি মিরাজ-৪ নামে একটি লঞ্চ ডুবে যায়৷ ঐ ঘটনায় নদী থেকে মোট ৫৮ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়৷ এছাড়াও গত ৩০শে জুলাই সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলায় যমুনা নদীতে নৌকাডুবে আট জনের মৃত্যু হয়৷ তার ঠিক দু'দিন আগেই কুষ্টিয়ার পদ্মা নদীতে নৌ-ভ্রমণে গিয়ে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান ১১ জন৷

২০০০ সাল থেকে চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত ১৩ বছরে দেশে লঞ্চ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ৷ এর মধ্যে শুধু এমভি নাসরীন-১ দুর্ঘটনায় ৩৬ শিশুসহ আট শতাধিক প্রাণ হারায়৷ ২০০৩ সালের ৮ই জুলাই রাতে চাঁদপুরে মেঘনার মোহনায় ঘূর্ণিতে পড়ে দুর্ঘটনাকবলিত হয়েছিল ধারণক্ষমতার প্রায় তিনগুণ যাত্রী নিয়ে চলা ওই লঞ্চ৷ এক হাজার যাত্রীর ধারণক্ষমতা থাকলেও লঞ্চটিতে যাত্রী ছিল তিন হাজার৷

বাংলাদেশ সোসাইটি অফ মাস্টার মেরিনার্স-এর নৌ দুর্ঘটনা নিয়ে তদন্তে দেখা যায় যে, শতকরা ৩৪ ভাগ লঞ্চ দুর্ঘটনার কারণ অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই৷ কারণ হিসেবে এটি শীর্ষে রয়েছে৷ সোসাইটি অফ মাস্টার মেরিনার্সের সভাপতি ক্যাপ্টেন এম আনামের মতে লঞ্চ দুর্ঘটনার ১০টি কারণ তাঁরা চিহ্নিত করেছেন৷ অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই ছাড়াও নির্মাণ ত্রুটি, চালকের গাফিলতি এবং বিরূপ আবহাওয়া লঞ্চ দুর্ঘটনার প্রধান কারণ৷

সোমবার দুর্ঘটনার কবলে পড়া লঞ্চটি অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাইয়ের কারণেই ডুবেছে বলে বিআইডাব্লিউটিএ জনিয়েছে৷ ১০০ যাত্রীর ধারণক্ষমতার লঞ্চটিতে যাত্রী ছিল ২৫০ জনের বেশি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য