চিংড়ি রপ্তানি
১০ আগস্ট ২০১২বাংলাদেশ থেকে ইউরোপে সবচেয়ে বেশি চিংড়ি আমদানি করা হয় বেলজিয়ামে৷ এরপরেই রয়েছে জার্মানির স্থান৷ ইউরোপের বেঁধে দেওয়া নীতি-আদর্শ এবং খাদ্যমানের দিকে খেয়াল রেখে বাংলাদেশের চিংড়ি শিল্প বেশ এগিয়ে যাচ্ছে বলে জানালেন মোহাম্মদ আল মামুন৷ এছাড়া বাংলাদেশের চিংড়ির বেশ চাহিদা রয়েছে ইউরোপের বাজারে৷ ডয়চে ভেলের সাথে এক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের চিংড়ি শিল্প নিয়ে নিজের গবেষণা সম্পর্কে মামুন বলেন, ‘‘আমার গবেষণার বিষয় হলো ‘বাংলাদেশের চিংড়ি চাষ এবং প্রক্রিয়াজাতকরণ'৷ এর আওতায় বাংলাদেশে চিংড়ি চাষের বর্তমান ধারা এবং এর সাথে জড়িত প্রতিষ্ঠানগুলোর গুণগত মান নিশ্চিত করার ব্যবস্থা এবং নিরাপত্তার দিক খতিয়ে দেখার বিষয়টি রয়েছে৷ এছাড়া ইউরোপীয় মান, আইএফএস এবং আইএসও'এর বেঁধে দেওয়া মানগুলোর সাথে বাংলাদেশের চিংড়ি উৎপাদন খামারগুলোর প্রকৃত অবস্থা যাচাই করে দেখা৷''
মামুন আরো জানান, ‘‘বাংলাদেশ থেকে মূলত দুই ধরণের চিংড়ি রপ্তানি হচ্ছে৷ গলদা এবং বাগদা চিংড়ি৷ গলদা মূলত নদীর পানি থেকে এবং বাগদা লবণাক্ত পানিতে চাষ হয়৷ বাগদা চিংড়ি ইউরোপেও রপ্তানি হয়৷ তবে জাপান ও অ্যামেরিকায় বাগদা বেশি রপ্তানি হয়৷ আর ইউরোপে বেলজিয়াম এবং জার্মানিতে বাগদার চাহিদা বেশি বেশি রয়েছে৷''
চিংড়ি খাত বাংলাদেশের একটি সম্ভাবনাময় শিল্প উল্লেখ করে মামুন বলেন, ‘‘বাংলাদেশে চিংড়ি শিল্পের উন্নতির জন্য বেশ কিছু বিধি-বিধান চালু করা হয়েছে৷ এগুলোর মধ্যে রয়েছে এইচএসিসিপি তথা হ্যাজার্ড অ্যানালাইসিস ক্রিটিক্যাল কন্ট্রোল পয়েন্ট৷ আরেকটি রয়েছে ট্রেসিবিলিটি পদ্ধতি৷ এসব পদ্ধতি চালু করার ফলে চিংড়ি উৎপাদন ও রপ্তানির ক্ষেত্রে গুণগত মানের বেশ উন্নতি হয়েছে৷''
তবে বাংলাদেশের প্রান্তিক পর্যায়ের চিংড়ি চাষিরা ঠিক অনুমোদিত এবং অননুমোদিত রাসায়নিক দ্রব্যের ব্যবহার কিংবা চিংড়ি উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাত করার সময় পালনীয় বিধি-বিধানের ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন এবং মনোযোগী নয় বলে গবেষণা করতে গিয়ে লক্ষ্য করেছেন আল মামুন৷ তাই এক্ষেত্রে চিংড়ি রপ্তানিকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরো সতর্ক হতে হবে এবং নজরদারি বাড়াতে হবে বলে সুপারিশ করেন তিনি৷
সাক্ষাৎকার: হোসাইন আব্দুল হাই
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ