দুশ্চিন্তায় বোয়িং, বিমান সংস্থাগুলি
১৬ জানুয়ারি ২০১৩ইউরোপের এয়ারবাস কোম্পানির হালের অতিকায় বিমান এ ৩৮০-এর তুলনায় অ্যামেরিকার বোয়িং কোম্পানির ‘৭৮৭ ড্রিমলাইনার' আকারে ছোট, যাত্রীসংখ্যাও তেমন বেশি নয়৷ তবে সুন্দর ডিজাইনের এই বিমানে জানালা বড়, জ্বালানির ব্যবহারও অনেক কম৷ এক যাত্রায় বহুদূরের গন্তব্যে পৌঁছতে পারে ড্রিমলাইনার৷
অনেক বিলম্বের পর বাজারে এসেছে এই বিমান৷ বিশ্বের অনেক বিমান সংস্থা কিনছে বোয়িং কোম্পানির এই সাম্প্রতিক সংযোজন৷ কিন্তু একের পর এক অপ্রিয় ঘটনার জের ধরে ড্রিমলাইনার-এর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে৷
সর্বশেষ ঘটনাটি ঘটেছে জাপানে৷ বুধবার জাপানের ‘অল নিপ্পন এয়ারওয়েজ'-এর একটি উড়ানের সময় ব্যাটারি খারাপ হয়ে যায়, ধোঁয়া বেরোতে থাকে৷ তখন বিমানটিকে জরুরি অবতরণ করতে হয়৷ গত সপ্তাহে অ্যামেরিকার বস্টন শহরে অবতরণের পর জাপান এয়ারলাইন্স-এর একটি ড্রিমলাইনার বিমানে আগুন ধরে গিয়েছিল৷ একই সংস্থার আরেকটি বিমানে জ্বালানির দু'টি ট্যাংকে ফুটো হয়ে গিয়েছিল৷ জাপানের আরেকটি বিমানের ককপিটের জানালায় চিড় ধরেছিল৷ এই সব ঘটনার ফলে জাপানের দুই বিমান সংস্থাই তাদের সব ড্রিমলাইনার বিমান চলাচল বন্ধ রেখেছে৷
বোয়িং তাদের ড্রিমলাইনার-কে নিরাপদ বিমান হিসেবে ঢালাও সার্টিফিকেট দিলেও জাপান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ তদন্ত শুরু করেছে৷ ভারতের এয়ার ইন্ডিয়া-র কাছে এর মধ্যেই পাঁচটি ড্রিমলাইনার এসে গেছে৷ ২০১৬ সালের মধ্যে আরও ২১টি বিমান পাবার কথা৷ ভারতীয় কর্তৃপক্ষের প্রধান অরুণ মিশ্র বুধবার বলেছেন, বোয়িং ও এয়ার ইন্ডিয়া-র সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷ তবে এই মুহূর্তে ভারতে ড্রিমলাইনার চলাচল বন্ধ করার কোনো পরিকল্পনা নেই৷
এমন সব অপ্রিয় ঘটনা সত্ত্বেও বেশিরভাগ বিমান সংস্থা বোয়িং-এর উপর আস্থা প্রকাশ করে বলেছে, গোলযোগের কারণ বার করে বোয়িং অবশ্যই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে৷ এমনকি ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ-এর মতো সংস্থা অর্ডার অনুযায়ী নতুন বিমান গ্রহণ করতেও প্রস্তুত তারা৷ তারা ২৪টি ড্রিমলাইনার কিনতে চলেছে৷ সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের মালিকানাধীন সস্তার বিমান সংস্থা স্কুট-ও ২০টি ড্রিমলাইনার বিমান অর্ডার করেছে৷ তারাও সেগুলি হাতে পেতে আগ্রহী৷
এসবি/ডিজি (এএফপি, ডিপিএ)