খেরসনের মানুষকে এলাকা ছাড়ার নির্দেশ
১৪ অক্টোবর ২০২২রাশিয়া বলেছে, খেরসনের মানুষ রাশিয়ার এলাকায় নিরাপদে চলে যেতে পারেন । তাদের বিনামূল্যে থাকার এবং খাওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। খেরসনের অধিবাসীরা যেন দ্রুত এলাকা ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে ছেড়ে যান।
ইউক্রেনের দাবি, রাশিয়ার হাত থেকে খেরসন অঞ্চলের বেশ কয়েকটি জায়গা তারা দখল করে নিয়েছে। দ্রুত ইউক্রেনের সেনা হারানো জমি পুনরুদ্ধার করছে। উল্টোদিকে, রাশিয়ার দাবি, খেরসন অঞ্চলের বেসামরিক জায়গায় ইউক্রেন লাগাতার মিসাইল আক্রমণ করছে। বেসামরিক মানুষের প্রাণ বাঁচাতেই তাদের নিরাপদ জায়গায় যেতে বলা হয়েছে।
২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন আক্রমণের পরপরই খেরসন দখল করেছিল রাশিয়া। সম্প্রতি তারা গণভোটের মাধ্যমে খেরসন অঞ্চল নিজেদের বলে দাবি করেছে। এছাড়াও আরো তিনটি অঞ্চল রাশিয়া নিজেদের বলে দাবি করেছে। কিন্তু ইউক্রেন-সহ পশ্চিমি দুনিয়া তা মানতে চায়নি। এনিয়ে জাতিসংঘে রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রস্তাবও গ্রহণ করা হয়েছে। এরপরেই রাশিয়া খেরসনের মানুষদের নিরাপদ আশ্রয় দেওয়ার কথা জানালো। কূটনৈতিক মহল যা গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা বলে মনে করছে।
বস্তুত, খেরসনের রাশিয়াপন্থি গভর্নর এবিষয়ে মস্কোর কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন। তারপরেই রাশিয়া এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং ডিক্রি জারি করেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
কিয়েভে ফের আক্রমণ
নতুন করে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে লাগাতার গোলাবর্ষণ করে যাচ্ছে রাশিয়া। কিয়েভের কাছে বৃহস্পতিবার সকালে একটি ইরানের ড্রোন গুলি করে নামিয়েছে দেশের সেনা। ইরানে তৈরি কামিকেজ ড্রোন দিয়ে রাশিয়া কিয়েভে আক্রমণ চালাচ্ছে বলে আগেই অভিযোগ করেছিল ইউক্রেন। এবার তার প্রমাণও মিলল। বস্তুত, এর আগেও ইউক্রেন বলেছিল, ইরানে তৈরি রাশিয়ার পাঠানো একাধিক ড্রোন তারা গুলি করে নামিয়েছে। ওই ড্রোনের সাহায্যেই রাশিয়া বোমাবর্ষণ করছিল বলে অভিযোগ।
মাঝে কিয়েভে আক্রমণ বন্ধ করেছিল রাশিয়া। কিন্তু সম্প্রতি ক্রাইমিয়া ব্রিজ ধ্বংসের পর ফের কিয়েভে লাগাতার আক্রমণ শুরু করেছে রাশিয়া। সেখানে ড্রোনের সাহায্যে বিস্ফোরণ ঘটনাো হচ্ছে, রকেটও ছোঁড়া হচ্ছে। তবে এখনো পর্যন্ত হতাহতের খবর নেই। কিয়েভ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার একটি পাঁচতলা ভবনে রাশিয়ার মিসাইল এসে লাগে। উপরের দুইটি তলা সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। নীচের তলাগুলির অবস্থাও ভালো নয়। উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলেই মনে করা হচ্ছে।
এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি, ডিপিএ)