খারকিভে আবার রাশিয়ার যুদ্ধবিমান থেকে হামলা, মৃত এক
২৮ মার্চ ২০২৪ইউক্রেন জানিয়েছে, রাশিয়ার আক্রমণের ফলে আবাসিক এলাকায় বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, পাঁচতলা একটি বাড়ির প্রবল ক্ষতি হয়েছে। এই বাড়িতে মানুষ বসবাস করছিলেন। রাশিয়ার হামলার ফলে একজন মারা গেছেন এবং ১২ জন আহত হয়েছেন। তার মধ্যে চারজন শিশু।
শহরের মেয়র জানিয়েছেন, রাশিয়া নিয়ন্ত্রিত ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে। স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, রাশিয়া যুদ্ধবিমান থেকে বোমা ফেলেছে।
পুলিশের তদন্তকারী বিভাগের প্রধান বলভিনভ বলেছেন, ২০২২ সালের পর থেকে এই প্রথমবার খারকিভে এভাবে আক্রমণ চালালো রাশিয়ার যুদ্ধবিমান।
সেনাদের মাঝে জেলেনস্কি
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি উত্তরপূর্বের শহরে গিয়ে যুদ্ধরত সেনাদের সঙ্গে দেখা করেন।
প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, ''আমি ট্রেঞ্চে গেছি, অবসারভেশন পোস্টে গেছি। আমরা আমাদের প্রতিরক্ষা আরো মজবুত করছি।''
তিনি ১১৭তম সেপারেট টেরিটোরিয়াল ব্রিগেডের কম্যান্ডারদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেনাদের সঙ্গে কথা বলেন। যুদ্ধাস্ত্র দেখেন। তিনি সেনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
জেলেনস্কি বলেছেন, ''ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা রক্ষার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ। আমি আপনাদের ও আপনাদের পরিবারের সুস্বাস্থ্য কামনা করি। আমরা বিজয়ী হব। আমাদের ভবিষ্যৎ এই যুদ্ধের উপর নির্ভর করছে।''
আরো ক্ষেপণাস্ত্র চায় ইউক্রেন
রাশিয়ার বিমান-হামলার মোকাবিলা করার জন্য আরো পেট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র চায় ইউক্রেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রি কুলেবা বলেছেন, রাশিয়া এখন খুব বেশি করে ব্যালেস্টিক মিসাইল ব্যবহার করছে। সেগুলি অত্যন্ত দ্রুত গতিতে লক্ষ্যে গিয়ে আঘাত করছে। ফলে মানুষ নিরাপদ জায়গায় যাওয়ার সময় পাচ্ছে না। তাই ক্ষয়ক্ষতিও বাড়ছে।
তিনি বলেছেন, পেট্রিয়ট ও অন্য ক্ষেপণাস্ত্র থাকলে মানুষের জীবন বাঁচানো সম্ভব।
গত ১৮ থেকে ২৪ মার্চ রাশিয়ার সেনা ১৯০টি বিভিন্ন ধরনের রকেট, ১৪০টি ড্রোন, সাতশটি গাইডেড বোমা ব্যবহার করেছে।
কুলেবা বলেছেন, ব্যালেস্টিক মিসাইলগুলি অনেকটা উপরে উঠে যায়, তারপর সোজা নিচে নেমে আসে। এগুলি হলো খুবই বিপজ্জনক।
জেলেনস্কিও জানিয়েছেন, রাশিয়ার আক্রমণের মোকাবিলায় তাদের পেট্রিয়ট মিসাইল চাই।
জিএইচ/এসজি(এপি, এএফপি, রয়টার্স)