1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কেন ভারতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে না অ্যামেরিকা?

৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

রাশিয়া থেকে সস্তায় তেল কেনার পরিমাণ সমানে বাড়িয়েছে ভারত। তা সত্ত্বেও দিল্লির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে না অ্যামেরিকা।

https://p.dw.com/p/4NGTY
ছবি: Dmitry Dadonkin/TASS/Sipa USA/IMAGO

মার্কিন অ্য়াসিস্টেন্ট সেক্রেটারি অফ স্টেট কারেন ডর্নফিল্ড জানিয়েছেন, ভারতের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করার কথা ভাবছে না অ্যামেরিকা।

তিনি জানিয়েছেন, নীতিগত বিষয়ে ভারত ও অ্যামেরিকার মতভেদ হতে পারে, কিন্তু দুই দেশই আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বের নীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকার জন্য দায়বদ্ধ।

আরেক মার্কিন অ্য়াসস্টেন্ট সেক্রেটারি অফ স্টেট জিওফ্রে পিয়াট জানিয়েছেন, ''ভারত যেভাবে রাশিয়া থেকে তেল কিনছে, তাতে অ্য়ামেরিকার কোনো অসুবিধা নেই। কিন্তু এই বিষয় নিয়ে আলোচনাকে আমরা অবশ্যই গুরুত্ব দিচ্ছি।''

তিনি জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক সময়ে যত দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়েছে, সেখানে এই প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

মার্কিন কূটনীতিকরা জানিয়েছেন, রাশিয়ার তেলের যে দাম বেঁধে দেয়া হয়েছে, তা তারা সমর্থন করেন। তাদের মতে, ভারত তেলের দাম নিয়ে কোনো দরাদরি করেনি, কিন্তু তাদের সামনে তেল কেনার একটা সুযোগ এসে গেছে।

গত ডিসেম্বরে অবস্য মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি জানিয়েছিলেন, চীন ও ভারতের মতো দেশগুলি দাম কমানো নিয়ে দরাদরি করতেই পারে।

মার্কিন কূটনীতিকদের ইঙ্গিত, তেলের দাম বেঁধে দেয়ার কারণ, তেল বিক্রি করে রাশিয়া যাতে বেশি অর্থ না পায় এবং তা দিয়ে যাতে যুদ্ধ চালাতে না পারে, তার ব্যবস্থা করা।

গত কয়েক মাস ধরে ভারত রাশিয়া থেকে আরো বোশি করে তেল কিনছে। তারা সেই তেল শোধন করে জ্বালানি হিসাবে ইউরোপ ও অ্যামেরিকাকে বিক্রি করছে। পরিশোধিত তেলকে কোনোভাবে রাশিয়ার বলা যাবে না।

গত মাসে ভারত প্রতিদিন ৮৯ হাজার ব্যারেল গ্যাসোলিন ও ডিজেল নিউ ইয়র্কে পাটিয়েছে। চার বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি জ্বালানি সরবরাহ করেছে ভারত। ডেনা ইনটেলিজেন্স সংস্থা কেপলারকে উদ্ধৃত করে ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, জানুয়ারিতে ভারত ইউরোপকে প্রতিদিন এক লাখ ৭২ হাজার হাজার ব্যারেল লো সালফার ডিজেল পঠিয়েছে।

জিএইচ/এসজি(এনডিটিভি, ব্লুমবার্গ)