কৃষ্ণাঙ্গ হত্যার ঘটনায় বিক্ষোভে উত্তাল নিউ ইয়র্ক
৫ ডিসেম্বর ২০১৪বুধবার আদালতের এই সিদ্ধান্তের পর কয়েক হাজার মানুষ ‘টাইমস স্কয়ার'-এ জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখান৷ শান্তিপূর্ণ এই বিক্ষোভ থেকে আটক করা হয়েছে অন্তত ৩০ জনকে৷ বিক্ষোভ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য শহরেও৷ রাতভর বিক্ষোভ চলতে থাকে৷ ওই মৃত্যুর ঘটনায় নাগরিক অধিকারের লঙ্ঘন হয়েছিল কিনা – তা খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রীয়ভাবে তদন্তের সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এরিক হোল্ডার৷
গত ১৭ই জুলাই নিউ ইয়র্কের রাস্তায় অবৈধভাবে সিগারেট বিক্রির অভিযোগে এরিক গার্নারকে আটক করে পুলিশ৷ কয়েকজন পুলিশ সদস্য তাঁকে জোর করে রাস্তায় ফেলে চেপে ধরলে, শ্বাসরোধ হয়ে এই কৃষ্ণাঙ্গের মৃত্যু হয়৷ যিনি শ্বাসরোধ করেছিলেন, সেই পুলিশ কর্মকর্তা ড্যানিয়েল প্যান্টালিওর দাবি, গার্নার গ্রেপ্তারে বাধা দেওয়ায় তাদের ওই পদক্ষেপ নিতে হয়৷ তবে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে ওই ঘটনাকে হত্যা হিসাবে উল্লেখ করা হলে, বিষয়টি গ্র্যান্ড জুরিতে যায়৷
ঐ ঘটনার সময় তোলা একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে৷ আবারো উঠেছে মার্কিন নিরাপত্তাবাহিনীর বিরুদ্ধে বর্ণবাদের অভিযোগ৷
টাইমস স্কয়ার এবং কেন্দ্রীয় স্টেশনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভকারীরা স্লোগান দিতে থাকেন ‘আই কান্ট ব্রিদ', ‘আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে', যা গার্নারকে গ্রেপ্তারের সময় তাঁর মুখে শোনা গিয়েছিল৷ এছাড়া আর একটি স্লোগান, যেখানে বলা হচ্ছে তোমার কাছে বর্ণবাদীর সংজ্ঞা কী? উত্তর এনওয়াইপিডি, অর্থাৎ নিউ ইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্ট৷
শান্তির জন্য আহ্বান
গার্নারের মা বিক্ষোভকারীদের এই আন্দোলনকে সমনর্থন জানিয়েছেন, তবে বিক্ষোভ যাতে শান্তিপূর্ণ হয় সে আবেদনও জানিয়েছেন তিনি৷ প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, এই ঘটনা সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে বড় ধরনের সমস্যার কথাই তুলে ধরেছে৷
মাত্র ন'দিন আগে মিসুরি অঙ্গরাজ্যের ফার্গুসনেও একটি গ্র্যান্ড জুরি একই ধরনের একটি রায় দেয়, যাতে নিরস্ত্র কৃষ্ণাঙ্গ তরুণ মাইকেল ব্রাউনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তা ড্যারেন উইলসনের বিচার না করার সিদ্ধান্ত আসে৷
গ্র্যান্ড জুরির ওই রায়ের পর তাৎক্ষণিকভাবে নতুন করে বিক্ষোভ শুরু হয় ফার্গুসনেও৷
এপিবি/ডিজি (এপি, এএফপি, রয়টার্স)