‘কৃত্রিম উপায়ে’ খেলাপি ঋণ কম দেখানোর উদ্যোগ
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার দ্য ডেইলি স্টার জানিয়েছে, ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ‘কৃত্রিমভাবে' কমিয়ে আনার রোডম্যাপের অংশ হিসেবে ঋণ অবলোপন নীতিমালা আরও শিথিল করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক৷
রোববার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন গাইডলাইনে বলা হয়েছে, দুই বছর ধরে খেলাপি ও লোকসানে থাকা ঋণ ব্যাংকগুলোর ব্যালেন্স শিট থেকে মওকুফের অনুমতি দেওয়া হয়েছে৷ আগে এই সীমা ছিল তিন বছর৷
ঋণ উদ্ধারের কোনো বাস্তব সম্ভাবনা নেই এমনক্ষেত্রে ব্যাংকগুলো তাদের ব্যালেন্স শিট থেকে ঋণ সরিয়ে নিতে ‘অবলোপন নীতিমালা' ব্যবহার করে৷
এর ফলে ব্যাংকগুলো তাদের খাতায় খেলাপি ঋণের পরিমাণ কম দেখাতে পারে৷ অবলোপন করা ঋণকে অফ-ব্যালেন্স রেকর্ডে পাঠানো হয় এবং এক্ষেত্রে ব্যাংকের দায় থেকে যায়৷
নতুন নীতিমালায় বলা হয়েছে, পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত খেলাপি ঋণ অবলোপনের জন্য ব্যাংককে অর্থ ঋণ আদালতে মামলা করতে হবে না৷ আগে এর পরিমাণ ছিল দুই লাখ টাকা৷
মামলা না করেই ব্যাংক মৃত ব্যক্তির নামে থাকা খেলাপি ঋণ অবলোপন করতে পারবে৷ আগের নিয়ম অনুযায়ী আইনি ব্যবস্থা না নিলে ঋণ অবলোপনের আগে ব্যাংকগুলোকে অর্থ ঋণ আদালত আইন-২০০৩ এর অধীনে মামলা করতে হতো৷
বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালায় বলা হয়েছে, খেলাপি ঋণ অবলোপনের জন্য কোনো ঋণ হিসাব আংশিক অবলোপন করা যাবে না৷ পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদনও বাধ্যতামূলক৷
২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ ব্যাংক অবলোপনের সময়সীমা পাঁচ বছর থেকে কমিয়ে তিন বছর করেছিল৷
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০০৩ সালে অবলোপন সুবিধা চালুর পর থেকে এ পর্যন্ত ব্যাংকগুলোর ব্যালেন্স শিট থেকে ৬৮ হাজার ২৩ কোটি টাকা অবলোপন করা হয়েছে৷
নতুন এই শিথিলতার ফলে আগামীতে খেলাপি ঋণ অবলোপনের প্রবণতা বাড়বে বলে মনে করছেন ব্যাংক কর্মকর্তারা৷
এফএস/কেএম (দ্য ডেইলি স্টার)