বিদ্যুৎ সংকট
২৮ এপ্রিল ২০১২বিদ্যুৎ নিয়ে আজকে শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও নগরবাসীর অভিজ্ঞতা খুবই তিক্ত৷ শিক্ষার্থীদের পড়াশুনা ব্যাহত হচ্ছে৷ আর বিদ্যুৎ না থাকায় পানিও পাওয়া যায়না৷ আর বিকল্প বিদ্যুতের ব্যবস্থা করেও কোন লাভ হয়না৷
বিদ্যুৎ ও জ্বালানী বিশেষজ্ঞ ড. ম. তামিম মনে করেন, বিদ্যুৎ ঘাটতি সামাল দিতে গিয়ে রেন্টাল এবং কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ফাঁদে পড়েছে বাংলাদেশ৷ এসব বিদ্যুৎ কেন্দ্র ডিজেল ও ফার্নেস অয়েল চালিত৷ তাই তারা জ্বালানী সংকটের কারণে সব সময় জ্বালানী সাশ্রয় করতে গিয়ে ক্ষমতার চেয়ে কম বিদ্যুৎ উৎপাদন করে৷ সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও এর ব্যতিক্রম হয়না৷ ছুটির দিনে চাহিদা কম থাকলেও তারা উৎপাদন করে আরো কম৷
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান আ ন ম রেজায়ান জানান, এই পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করবে দেড় বছর পর৷ কারণ তখন সরকারের সঙ্গে এই সব রেন্টাল এবং কুইকরেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর চুক্তি শেষ হয়ে যাবে৷ তখন তারা আর ভর্তুকি মূল্যে জ্বালানি পাবেনা৷ এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনও করবে না৷
অন্যদিকে জ্বালানী বিশেষজ্ঞ ম. তামিম বলেন, দেশের ৪০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের চুক্তি হয়েছে ডুয়েল ফুয়েলে৷ হয় গ্যাস নয় জ্বালানি তেল৷ গ্যাস এমনিতেই কম আর জ্বালানি তেলের দাম বেশি৷ এ অবস্থায় পরিস্থিতি কী হবে তা সহজেই অনুমেয়৷ এ অবস্থায় কয়লা ভিত্তিক বৃহৎ আকারের বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা না হলে বিদ্যুৎ নিয়ে আরো বড় সংকটের আশঙ্কা করছেন তারা৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম