খান কীটনাশকমুক্ত খাবার
৪ জুলাই ২০১৬সার আর কীটনাশক দেয়া ফলমূল, সবজিতে এখন বাংলাদেশের বাজার সয়লাব৷ সেগুলো দেখতে সুন্দর, সহজে পচে না, আকার, আকৃতি একেবারে ক্রেতার মন মতো হয়৷ ফলে ক্রেতা সেটা কেনেন এবং খুশি মনে খান৷
মানবদেহের সহ্য ক্ষমতা অনেক বেশি৷ তাই কীটনাশক আর মাত্রাতিরিক্ত সার ব্যবহার করে উৎপাদিত সবজি বা ফলমূল খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তার প্রভাবটা তেমন একটা বোঝা যায় না৷ তবে দীর্ঘমেয়াদে ক্যানসার থেকে শুরু করে ডায়াবেটিস, অটিজম এমনকি পার্কিনসন রোগ হতে পারে কীটনাশকযুক্ত খাবার খাওয়ায়৷ তাই সময় এসেছে দ্বিতীয়বার ভাবার৷
আশার কথা হচ্ছে, বাংলাদেশে ইতোমধ্যে জৈব কৃষি আন্দোলন শুরু হয়েছে৷ দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় গত বছরের জুলাইয়ে প্রকাশিত এক বিশেষ প্রতিবেদনে শোনানো হয়েছে আশার কথা৷ জৈব কৃষি পদ্ধতিতে জমির সার এবং কীটনাশক তৈরি হয় জৈব পন্থায়, অর্থাৎ রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের বদলে প্রাকৃতিক বিভিন্ন উপায় ব্যবহার করে৷
অরগ্যানিক বা জৈব উপায়ে উৎপাদিত সবজি ও ফলমূলের গুণও অনেক৷ সবচেয়ে বড় ব্যাপার হচ্ছে, এর ফলে অনেক বিষাক্ত রাসায়নিক খাওয়া থেকে নিস্তার পাওয়া সম্ভব৷ কেননা বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদিত খাবারে যেসব সার ও কীটনাশক ব্যবহার করা হয়, সেগুলোতে বিভিন্ন মাত্রার রাসায়নিক দ্রব্য রয়েছে৷ অধিকাংশক্ষেত্রেই যে মাত্রায় এগুলো ব্যবহার করা হয় তা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর৷ মনে রাখতে হবে, কীটনাশকযুক্ত ফল ধুলেই ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্য চলে যায় না৷
জৈব উপায়ে উৎপাদিত ফলমূল, সবজিতে নিউট্রেন্ট, মিনারেল, এনজাইম এবং মাইক্রোনিউট্রেন্টের পরিমাণ বেশি থাকে৷ ফলে পুষ্টির অভাব অনেকটাই মিটতে পারে অর্গানিক খাদ্যে৷ পাশাপাশি এভাবে উৎপাদিত খাবারে স্বাদও ভালো হয়৷
আরো যে বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে, জৈব কৃষি পরিবেশের জন্য উপকারী৷ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ইতোমধ্যে ক্ষতির শিকার বাংলাদেশের মাটি ও পানি বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ থেকে রক্ষা করতে চাইলে তাই এই পন্থা উপকারী৷ ফলে নিজের সন্তানদের একটি সুন্দর ভবিষ্যতের কথা যারা ভাবছেন তারা বেছে নিতে পারেন অরগ্যানিক খাবার৷ আর সেখাবারে একটু-আধটু পোকা যদি থেকেও যায় নিশ্চিন্তে সেটা খেতে পারেন৷ এতে ক্ষতির কিছু নেই৷
আপনি কি আরাফাতুল ইসলামের সঙ্গে একমত? আপনার মতামত জানান, লিখুন নীচের ঘরে৷