কী হবে পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনে
১০ অক্টোবর ২০২৩২০২৪ সালে ভারতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তার আগে আগামী নভেম্বরে পাঁচ রাজ্যে নির্বাচন। গুরুত্বপূর্ণ এই নির্বাচনকে সেমি ফাইনাল বলা হচ্ছে। সোমবার জাতীয় নির্বাচন কমিশন এই পাঁচ রাজ্যের ভোটের দিন ঘোষণা করেছে। ফলাফল ৩ ডিসেম্বর।
মধ্য়প্রদেশে ভোট হবে এক দফায়। নির্বাচনের দিন ১৭ নভেম্বর। রাজস্থানে ভোট হবে ২৩ নভেম্বর। তেলেঙ্গানায় ভোট হবে ৩০ নভেম্বর। মিজোরামের নির্বাচন ৭ নভেম্বর। মাওবাদী অধ্যুষিত ছত্তিশগড়ে ভোট হবে দুই দফায়। ৭ এবং ১৭ নভেম্বর।
২০১৮ সালে ৯০ আসনের ছত্তিশগড় বিধানসভায় কংগ্রেস পেয়েছিল ৬৮টি আসন। বিজেপি পেয়েছিল ১৫টি আসন। এর আগে ওই রাজ্যে ১৫ বছর রাজত্ব করেছে বিজেপি। বিশেষজ্ঞদের অনুমান এবারও কংগ্রেসের দিকেই পাল্লা ভারী ছত্তিশগড়ে।
মধ্যপ্রদেশের নির্বাচনে কার্যত টি-২০ ম্যাচ হয়েছিল ২০১৮ সালে। কংগ্রেস পেয়েছিল ১১৪টি আসন। বিজেপি পেয়েছিল ১০৯টি আসন। কিন্তু নির্বাচনের কিছুদিনের মধ্যেই জ্য়োতিরাদিত্য সিন্ধিয়া একাধিক বিধায়ক নিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন। ফলে সরকার উল্টে যায়। এবছরেও মধ্যপ্রদেশে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
২০১৮ সালে ২০০ আসনের রাজস্থান বিধানসভায় ১০৩টি আসন নিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল কংগ্রেস। বিজেপি পেয়েছিল ৭৩টি আসন। তবে এর আগে রাজস্থানে দীর্ঘদিন রাজত্ব করেছে বিজেপি। রাজস্থানে কংগ্রেসের অন্তর্দ্বন্দ্বও সাংঘাতিক। এই পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞদের একটি বড় অংশ মনে করছে, এবছরের নির্বাচনে রাজস্থানে পাশা উল্টে দিতে পারে বিজেপি।
তেলেঙ্গানায় ক্ষমতাসীন দল টিআরএস। অধুনা নাম বদলে যারা হয়েছে বিআরএস। তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি থেকে ভারত রাষ্ট্র সমিতি। ২০১৪ সালে অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে আলাদা হয়েছিল এই রাজ্যটি। পৃথক তেলেঙ্গানার জন্য দীর্ঘ লড়াই করেছিলেন কেসিআর। তিনিই তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী। এবারেও তার দিকেই পাল্লা ভারী। তবে কংগ্রেস এবং বিজেপি দুই দলই লড়াইয়ে আছে। ফলে সেখানে লড়াই হবে ত্রিমুখী।
৪০ আসনের মিজোরাম বিধানসভা দীর্ঘদিন দখলে ছিল কংগ্রেসের। ২০১৮ সালের নির্বাচনে তা হস্তান্তরিত হয় মিজো আন্দোলনের অন্যতম মুখ জোরামথাঙ্গার হাতে। তার নেতৃত্বে মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্ট জিতে নিয়েছিল ২৬টি আসন। কংগ্রেস ৫টি, বিজেপি মাত্র একটি। এবারও জনসমর্থন জোরামের দিকেই আছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ভারতে ভোটে বিশেষজ্ঞদের সব অঙ্ক তছনছ হয়ে গেছে, এমন ঘটনা বহুবার ঘটেছে। ফলে এবারও তেমন হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তবে ফলাফল যা-ই হোক ২০২৪ সালের ভোটে তার প্রভাব পড়তে পারে।
এসজি/জিএইচ (পিটিআই)