কিশোরদের ছুরি বহন নিষিদ্ধ করবে জার্মানি
৪ এপ্রিল ২০১৮সংগঠনটির মতে, উঠতি বয়স কেউ ছুরি নিয়ে ঘুরলেই তাদের হত্যাচেষ্টার মামলার আইনের আওতায় আনা উচিত৷ এর আওতায় ‘বিশেষভাবে' অভিবাসীদের আনার কথাও বলেছে তারা৷ এছাড়া দেশটিতে ছুরি হাতে অপরাধমূলক কাজের শিগগিরই একটি পরিসংখ্যান প্রকাশের ওপরও জোর দিয়েছে সংগঠনটি৷ পুলিশের ট্রেড ইউনিয়নের পক্ষ থেকে এ আবেদনটি করা হয়েছে নতুন আইনমন্ত্রী কাটারিনা বার্লে এবং হর্স সিহোফোরের কাছে৷
ছুরিকাঘাত সংক্রান্ত অপরাধগুলো বর্তমানে জার্মানিতে ‘' মামলার আওতায় বিচার করা হয়৷ জার্মান পুলিশের সংগঠনটি এ ধরনের অপরাধকে ‘হত্যা মামলা'র আওতায় নিয়ে আসার সুপারিশ করেছে৷
ছুরি নিয়ে আইন জোরদারের ব্যাপারে জার্মান পুলিশ ট্রেড ইউনিয়ন (ডিপিওআইজি)-র যুক্তি হলো, ‘‘‘খুব সাধারণ বাদানুবাদেই ছুরি চালানো হয়৷ এগুলো বহন করা সহজ আর দামেও সস্তা৷''
২০১৫ ও ২০১৭ সালেও দুটি ঘটনায় ছুরি ব্যবহার হয়েছিল, যার একটিতে পূর্ব জামার্নির আলটেনা শহরের লিবারেল ডেমোক্র্যাট মেয়র অ্যানদ্রেঁয়াস হলস্টেন গুরুতর আহত হয়েছিলেন৷
ডিপিওআইজি বলছে, ছুরিকাঘাতের ঘটনাগুলো যদি হত্যাচেষ্টার মামলার আওতায় নিয়ে আসা যায় তাহলে পুলিশ অভিযুক্ত ব্যক্তিকে তদন্তের জন্য এক বছরের আটকাদেশের সুযোগ পাবে৷ অভিযুক্ত অভিবাসী বা শরণার্থী হলে তাকে নিজ দেশেও ফেরত পাঠাতে পারবে৷
‘‘শারীরিক আঘাত আইনের আওতায় থাকায় ছুরিকাঘাতের মামলায় বর্তমানে অভিযুক্তকে কোনো ধরনের আটকাদেশের সুযোগ নেই, কেননা, তারা আইনানুযায়ী কম অপরাধী৷''
ডিপিওআইজি জার্মান সরকারি চাকরিজীবীদের সংগঠন বায়ামটান্ডবুন্দ-এর তালিকাভুক্ত সংগঠন৷
এদিকে জার্মানির কেন্দ্রীয় পুলিশ সংগঠন ট্রেড অব ইউনিয়ন পুলিশ (জিডিপি) বলেছে, ‘দৃশ্যত' চাকু হাতে অপরাধ বাড়লেও এর কোনো প্রমাণ নেই, কেননা, এ সংক্রান্ত কোনও পরিসংখ্যান নেই৷''
গত জানুয়ারিতে লোয়ার সাক্সনির লুনেনে ১৪ বছর বয়সি এক কিশোর আরেক কিশোরের ছুরিকাঘাতে নিহত হয়৷ এর আগে ডিসেম্বরে ১৫ বছর বয়সি এক কিশোরীকে তার আফগান প্রেমিক একটি দোকানে ছুরি মেরে হত্যা করে৷
ডিপিওআইজি-এর জন্য ‘তরুণ আরব'দের দায়ী করে বলেছে, তাদের দ্বারাই এ আচরণ এদেশে এসেছে৷ ‘‘ছুরি নিয়ে চলার মধ্যে কোনও অপরাধ নেই'', কিশোরদের মধ্যে এই মনোভাব তৈরি করাতে তাদের ভূমিকা রয়েছে৷
এ বিষয়ে সম্প্রতি সমীক্ষা চালিয়েছে ইউগোভ নামের একটি জরিপ সংস্থা৷সোমবার জরিপের ফল প্রকাশ হয়৷ এতে বলা হয়, তরুণ প্রজন্মের জার্মানদের মধ্যে ৫০ শতাংশেরও বেশি ছুরি আক্রমণের আশঙ্কা করে থাকেন৷ ১৮ বা তার চেয়ে বেশি বয়সি তরুণের ওপর করা এ জরিপে মাত্র ৪২ শতাংশ তরুণ ছুরিতে আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে ভীত নয় বলে জানিয়েছেন৷
লুকাস হানসেন/এইচআই