জার্মান পুলিশ উপপ্রধানের উপর ছুরি আক্রমণ
১৬ ডিসেম্বর ২০০৮গত এক বছর ধরে পাসাও পুলিশ তথাকথিত নিও-নাৎসীদের রেয়াত করছে না. মানিশল্-কে বোধহয় সেই প্রতিশোধেরই শিকার হতে হল৷ অপরদিকে আততায়ীকে চট করে ধরার আশাও অলীক প্রমাণিত হয়েছে৷ মানিশল্-এর নিজের প্রদত্ত বর্ণনা অবলম্বন করে রবিবার যে দু'জনকে ধরা হয়েছিল, তাদেরও ছেড়ে দিতে হয়েছে৷
মানিশল্-এর আক্রমণকারীর গাঁট্টাগোট্টা চেহারা এবং মাথা কামানো৷ বিকেল সাড়ে পাঁচটায় বাড়ীর দরজায় বেল বাজিয়ে আক্রমণ করেছে সে৷ মানিশল্-কে ‘‘বামপন্থী শূকর'' বলে অভিহিত করে ‘‘জাতীয়তাবাদী প্রতিরোধের অভিনন্দন'' হিসেবে সে তার ১১ সেন্টিমিটার ছুরির ফলা মানিশল্-এর পাঁজরে বসিয়ে দিয়েছে, হার্টের দুই সেন্টিমিটার দূরে৷
অপরাধীমূলক মনোবৃত্তি এবং বিদ্বেষ
আততায়ী পাসাও-এর নব্য নাৎসী মহল থেকে আগত, বলে তদন্তকারীদের ধারণা৷ এবং পাসাও-এর এই নিও-নাৎসী মহল কারুরই অজানা নয়৷ তবুও বাভারিয়ার মুখ্যমন্ত্রী হর্স্ট সেহোফার বলেছেন, এটা একবার ভাবা দরকার, যে কি পরিমাণ অপরাধীমূলক মনোবৃত্তি এবং বিদ্বেষ এর পিছনে কাজ করছে, এ ধরণের নির্মম এবং অভিসন্ধিমূলক আক্রমণের পিছনে কি রয়েছে৷ রাষ্ট্র এবং সমাজকে একত্রিত হয়ে এর জবাব দিতে হবে৷
বাভারিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইওয়াখিম হেরমান বলেছেন, এটা একটা সম্পূর্ণ নূতন পর্যায়, এটা হিংসার একটা চরম৷ কাজেই যতো শীঘ্র সম্ভব এ ঘটনার সমাধান হওয়া চাই৷
বিপদ সঙ্কেত
ভালো কথা, কিন্তু সেই ঘটনার পটভূমি আরো বেশী ভাবিয়ে তোলার ক্ষমতা রাখে৷ পাসাও-এর নিও-নাৎসীরা ক্রমেই আরো বেশী সক্রিয় এবং সহিংস হচ্ছে৷ এ'বছর পাসাও-তে ৮৩টি নিও-নাৎসী সংক্রান্ত আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে, যা ২০০৭-এর তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ৷ এ'তো বর্তমানের কথা৷ অতীতে, অর্থাৎ নব্বই-এর দশকে এই পাসাও-তেই অর্ধেক ইউরোপ থেকে আগত নব্য নাৎসীরা নিয়মিত তাদের সমাবেশ করেছে৷
এখন প্রশ্ন হল, জার্মানীতে নিও-নাৎসীদের প্রতি সঠিক মনোভাব, আচরণ ও পন্থা নিয়ে যে অস্পষ্টতা রয়েছে, যথা দক্ষিণপন্থী এন.পি.ডি. দলটিকে নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে – সেই অস্পষ্টতা এবং দ্বিধা-দ্বন্দ্বের পরিবর্ত্তে এখন অন্ততঃ সরকারের তরফে একটা নূতন দৃঢ়তা দেখা যাবে কিনা৷ কেননা মানিশল্-কে ছুরিকাঘাত প্রমাণ করেছে বিপদের আসল মাত্রা৷