1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কিরঘিজস্তানে প্রধানমন্ত্রীর ইস্তফা, ভোটের ফল বাতিল

৭ অক্টোবর ২০২০

বিক্ষোভের জেরে পদত্যাগ করলেন কিরঘিজস্তানের প্রধানমন্ত্রী বরোনভ। কার্যকরী প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন বিরোধী নেতা জাপারভ।

https://p.dw.com/p/3jXNU
ছবি: picture-alliance/AA/M.F. Ogras

নির্বাচনের ফলাফল বেরনোর পরেই কিরঘিজস্তানে শুরু হয়েছিল সাধারণ মানুষের বিক্ষোভ। পুলিশের বাধা সত্ত্বেও বিক্ষোভকারীরা পার্লামেন্ট ও প্রেসিডেন্টের অফিস দখল করে নিয়েছিল। মঙ্গলবার সেন্ট্রাল ইলেকশন কমিশন ঘোষণা করে, সাধারণ নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করা হলো। উত্তেজনা এড়াতেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে তারা।

এরপরই প্রধানমন্ত্রী বরোনভ পদত্যাগ করেন। কার্যকরী প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন জাপারভ। একদিন আগেই বিক্ষোভকারীরা তাঁকে জেল থেকে মুক্ত করেছে। প্রেসিডেন্ট জিনবেকভও পদত্যাগের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন বলে মিডিয়ার রিপোর্ট। তিনি বলেছেন, কোনো শক্তিশালী নেতাকে তিনি দায়িত্ব হস্তান্তর করতে রাজি। তবে সেই শক্তিশালী নেতা কে তা তিনি জানাননি।

Kirgistan Proteste
ছবি: Vladimir Voronin/AP Photo/picture-alliance

মঙ্গলবার পার্লামেন্টের জরুরি অধিবেশন ডাকা হয়েছিল। সেখানেই কার্যকরী প্রধানমন্ত্রী হিসাবে জাপারভকে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ২০১৭-তে তাঁকে আটক করা হয়েছিল। গত ৪ অক্টোবরের ভোটে তিনি পরাজিত হয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর সমর্থকরা সোমবার তাঁকে কারাগার থেকে মুক্ত করে নিয়ে আসে। তিনিই কার্যকরী প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। নতুন সরকার গঠন না হওয়া পর্যন্ত আগের মন্ত্রিসভাই কাজ চালাবে।

সাধারণ নির্বাচনের ফল বেরনোর পরেই বিক্ষোভেউত্তাল হয়ে ওঠে কিরঘিজস্তান। বিক্ষোভকারীদের দাবি ছিল, ভোটে জালিয়াতি করা হয়েছে। তাই তাঁরা এই ফলাফল মানবেন না। শেষ পর্যন্ত এই বিক্ষোভের জেরেই ফলাফল বাতিল বলে ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। প্রধানমন্ত্রী বদলও হয়েছে।

কিরঘিজস্তানে জনতার এই আন্দোলন নতুন নয়। ১৯৯১ সালে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে আলাদা রাষ্ট্র হওয়ার পর বহুবার সাধারণ মানুষ এভাবেই বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। ২০০৫ ও ২০১০ সালে দুইজন প্রেসিডেন্ট বিক্ষোভের জেরেই ক্ষমতা হারিয়েছেন। এ বার তৃতীয় প্রেসিডেন্টও ক্ষমতা হারাতে পারেন।

জিএইচ/এসজি(রয়টার্স, ইন্টারফ্যাক্স)