কাশ্মীরে জীবনযুদ্ধের ছবি তুলে সেরা আলোকচিত্রীর পুরস্কার
১৪ জুন ২০২০২০১৪ সালে আফগানিস্তানে নিহত জার্মান ফটোসাংবাদিক আনিয়া নিদরিংহাউসের সম্মানে এ পুরস্কার দেওয়া হয়৷ পুরস্কারেরর অর্থমূল্য ২০ হাজার মার্কিন ডলার৷
এবারের বিজয়ী হিসেবে বৃহস্পতিবার মাসরাতের নাম ঘোষণা করে ইন্টারন্যাশনাল উইমেন্স মিডিয়া ফোরাম (আইডব্লউএমএফ)৷
ফ্রিল্যান্স ফটোসাংবাদিক মাসরাতের কাজের প্রশংসা করতে গিয়ে জুরি বোর্ডের সদস্যরা বলেন, তার ছবিতে কাশ্মীরের বাসিন্দাদের ‘আতঙ্কের সঙ্গে বসবাসের’ চিত্র ফুটে উঠেছে৷
মাসরাতের জন্ম শ্রীনগরে৷ তিনি তার ছবিতে মানবতা, বিশেষ করে দৈনন্দিন জীবনে নারীদের সংগ্রামের গল্প তুলে এনেছেন৷
আইডব্লিউএমএফ-র নির্বাহী পরিচালক এলিসা লিস মুনজ বলেন, ‘‘বিশ্বজুড়ে নানা সম্প্রদায়ের অসংখ্য মানুষ সরকারের দমন-পীড়ন, হুমকি এবং নানা নিষেধাজ্ঞার মধ্যে জীবনযাপন করছে৷ সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা বলতে কিছু সেখানে নেই৷’’
মাসরাতের একটি ছবিতে একজন নারী ও দুইটি শিশুকে সাবধানতার সঙ্গে সড়কে কাঁটাতারের বাঁধা পেরুতে দেখা যাচ্ছে৷ অন্য ছবিতে ভারতীয় এক সেনাসদস্য এক স্কুলছাত্রীর দিকে তার বন্দুকের নল উঁচিয়ে আছেন৷
নিজের কাজের জন্য মাসরাতকে প্রায়ই হেনস্তা হতে হয়৷ ভারত সরকার থেকে হুমকিও পান নিয়মিত৷ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি পোস্ট করার কারণে মাসরাতের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে এবং দোষী সাব্যস্ত হলে তার সাত বছরের কারাদণ্ড হতে পারে বলে জানায় আইডব্লিউএমএফ৷
বিজয়ী হওয়ার পর মাসরাত বলেন, ‘‘এই পুরস্কার আমার মতো ছোট শহর থেকে উঠে আসা সাংবাদিকদের স্বীকৃতি৷
‘‘আশা করি এই সম্মান আমাকে নিজের কাজ আরো নিখুঁত এবং আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে করার সাহস জোগাবে৷ আমি এ পুরস্কারকে এক নারী আলোকচিত্রীর জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবেও নেবো, যাকে কঠিন পরিবেশে কাজ করতে হয়৷’’
মাসরাত ছাড়াও হংকং এবং পুয়ের্তো রিকোর দুই নারী এ পুরস্কার জিতেছেন৷ ফ্রিল্যান্স ফটোসাংবাদিক লরেল চো-র ছবির বিষয় হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থি আন্দোলন৷ পুয়োর্তো রিকোর নাহিরা মন্টকোর্টের বিষয় প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং সামাজিক বিশৃঙ্খলা নিয়ে আন্দোলন৷
রেবেকা স্টাডেনমায়ার/এসএনএল