কানিমোড়ির জামিন স্থগিত করলো সুপ্রিম কোর্ট
৯ জুন ২০১১গতকাল দিল্লি হাইকোর্ট ডিএমকে সাংসদ কানিমোড়ির জামিনের আবেদন খারিজ করে রায় দেন, কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো সিবিআই টু-জি স্পেকট্রাম বন্টনে দুর্নীতি নিয়ে যে তদন্ত করছে তাতে প্রাথমিকভাবে মনে করার যথেষ্ট কারণ আছে যে কানিমোড়ি এই দুর্নীতির ষড়যন্ত্রে জড়িত৷ কানিমোড়ি কার্যত কালাইনার টিভি কোম্পানির অন্যতম মালিক৷ তাঁকে জামিন দিলে সাক্ষীদের প্রভাবিত করার সুযোগ থাকবে৷ দ্বিতীয়ত, তাঁর রাজনৈতিক প্রভাব প্রতিপত্তি যথেষ্ট৷ কানিমোড়ি সেই ডিএমকে দলের, যে দলের সদস্য প্রাক্তন টেলিকম মন্ত্রী এ. রাজা৷ ডিএমকে কেন্দ্রীয় সরকারের শরিক দল৷ বিচারপতি অজিত ভারিহোকে রায় দেন, এই পর্যায়ে কানিমোড়ি এবং কালাইনার টিভির অপর অভিযুক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক শারদ কুমারকে জামিন দিলে তদন্ত কাজ ব্যাহত হতে পারে৷
আদালতের রায়ে আরো বলা হয়, ২০০৭ সালে এ.রাজা টেলিকম মন্ত্রী হবার মাসখানেকের মধ্যে কানিমোড়ি সান টিভি ছেড়ে দিয়ে কালাইনার টিভি সম্প্রসারণে হাত লাগায়৷ কানিমোড়ির ঘনিষ্ট সহযোগী হিসেবে রাজা কালাইনার টিভির রেজিস্ট্রেশনে সাহায্য করেন৷
কানিমোড়ি ও শারদ কুমারের আত্মপক্ষ সমর্থনের যুক্তি নাকচ করে দেন বিচারপতি৷ আত্মপক্ষ সমর্থনে তাঁরা বলেন যে , ২০০ কোটি টাকা তাঁরা কালাইনার টিভির জন্য পেয়েছিলেন আন্ত:কর্পোরেট আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে৷ এরমধ্যে বেআইনি কিছু ছিলনা৷ বিচারপতি মনে করেন ঐ টাকা সরাসরি যায়নি, সন্দেহজনক পথে বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে গেছে৷ উল্লেখ্য, টু-জি স্পেকট্রাম বন্টনে ঘুষের অর্থের ২০০ কোটি টাকা যায় কালাইনার টিভিতে এমনটাই অভিযোগ৷
এদিকে শোনা যাচ্ছে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার রদবদল আসন্ন৷ তার আগে টেলিকম কেলেঙ্কারির অভিযোগে আরো একজন ডিএমকে মন্ত্রীর ইস্তফার মেঘ ঘনাচ্ছে৷ ইনি হলেন, বস্ত্রমন্ত্রী করুণানিধির নাতি দয়ানিধি মারান৷ তাঁর বিরদ্ধে অভিযোগ, তিনি জি.শিবশঙ্করন নামে এক ব্যবসায়ীর ওপর চাপ সৃষ্টি করে এয়াসেল মোবাইল পরিষেবা সংস্থা থেকে তাঁর বিনিয়োগ তুলে নিতে বাধ্য করেছিলেন৷ তাৎপর্যপূর্ণ হলো, এয়ারসেলের প্রমোটার কোম্পানি ম্যক্সিস এরপরেই সানটিভিতে বিনিয়োগ করেছিল৷
অন্যদিকে, ডিএমকে দলের বিপর্যয়ের পর আগামিকাল চেন্নাইতে বসছে ডিএমকে দলের শীর্ষ বৈঠক৷ তাতে স্থির হবে কেন্দ্রে কংগ্রেস জোট সরকারে দল থাকবে কিনা৷
প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়,নতুনদিল্লি
সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম