টেলিকম দুর্নীতিতে দিল্লির আদালতে সাংসদ কানিমোড়ি
৬ মে ২০১১এই দুর্নীতিতে কানিমোড়ি জড়িত নয় এই যুক্তিতে তাঁর জামিনের আর্জি জানান তাঁর আইনজীবী৷
টু-জি স্পেকট্রাম বন্টন কেলেঙ্কারিতে তামিলনাড়ুর ডিএমকে দলের মুখ্যমন্ত্রী করুণানিধির মেয়ে তথা সাংসদ কানিমোড়ি জড়িত ছিলেন, এই অভিযোগে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা তাঁর বিরুদ্ধে চার্জশিট দিলে আজ দিল্লির বিশেষ আদালতে তার শুনানি শুরু হয়৷ আসামি পক্ষের কৌঁশুলি বিশিষ্ট আইনজীবী রাম জেঠমালানি তাঁর জামিনের আবেদন করে বলেন, টু-জি কেলেঙ্কারির সঙ্গে তাঁর মক্কেল কোনভাবেই যুক্ত নন৷ যুক্ত থাকার কোন প্রমাণও নেই৷ তাই কানিমোড়ির বিরুদ্ধে কোন মামলা হতে পারেনা৷ তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রীর মেয়ে বলেই তাঁকে নিশানা করা হয়েছে৷ প্রাক্তন টেলিকম মন্ত্রী ডিএমকে দলের এ.রাজা হয়ত টেলিকম দুর্নীতির ফৌজদারি চক্রান্তে যুক্ত থাকতে পারেন, কিন্ত কানিমোড়ি নয়৷
সওয়ালকালে আসামি পক্ষের আইনজীবী জেঠমালানি বলেন, কানিমোড়ি কালাইগনার টিভি কোম্পানির সামান্য শেয়ারহোল্ডারমাত্র৷ তিনি কোন নথিপত্রে না সই করেন, না সই করার অধিকার তার আছে৷ স্পেকট্রাম বন্টনে অনিয়ম করে যে বিপুল অর্থ নেয়া হয়, তার ২০০ কোটি টাকা কালাইগনার টিভি সংস্থাকে দেয়ার যে অভিযোগ তদন্তকারী সংস্থা তুলেছে, তা সুদে ধার নেয়া টাকা৷ এবং সেটা যথারীতি ফেরৎ দেয়া হয়৷ তদন্তকারী এজেন্সি জানেন না কর্পোরেট ফৌজদারি অপরাধ কাকে বলে৷ সওয়াল প্রসঙ্গে কৌঁশুলি বলেন, বিচার চলাকালে মহিলা হিসেবে তিনি ভালো ব্যবহার পাবেন বলে আশা করা যায়৷ আশঙ্কা, মামলার অন্যন্য আসামিদের মত কানিমোড়িকে গ্রেপ্তার করার আদেশ দিতে পারে আদালত৷ পরবর্তী শুনানি ৭ই মে৷ শুনানির সময় আদালতে হাজির ছিলেন ডিএমকে দলের নেতা কর্মী ও পরিবারের লোকজন৷
কানিমোড়িকে গ্রেপ্তার করা হলে তিনিই হবেন করুণানিধি পরিবারের প্রথম সদস্য যাঁকে জেলে পাঠানো হলো৷ সেক্ষেত্রে কেন্দ্রে কংগ্রেস জোট সরকারের শরিক দল ডিএমকে জোট ছেড়ে বেরিয়ে যাবেনা বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা৷
তামিলনাড়ু বিধানসভা ভোটের ফলাফল ১৩ই মে৷ ডিএমকে যদি ভালো ফল করে, কংগ্রেসের সমর্থন ছাড়া সরকার গঠন সম্ভব হবেনা৷আর ডিএমকে দল হেরে গেলে তো কথাই নেই৷ বিশেষ করে তামিলনাড়ুতে যে বদলা নেবার রাজনীতি চলে, তাতে বিরোধী দল ক্ষমতায় এলে ডিএমকে নেতৃত্বের একটা পাকাপোক্ত আশ্রয় দরকার৷ তাই কংগ্রেস নেতৃত্বের মতে, জোট-রাজনীতি বাস্তবতার ওপর নির্ভরশীল৷
প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক