1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কান উৎসবে বাংলাদেশ

প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম২৩ মে ২০১৪

বাংলাদেশের তরুণ চলচ্চিত্র পরিচালক কামার আহমাদ সাইমন কান চলচ্চিত্র উৎসবে হাজির হয়েছেন তাঁর স্বপ্ন নিয়ে৷ স্বপ্নের নাম ‘শঙ্খধ্বনি'৷ বিশ্বের অন্যতম বড় চলচ্চিত্র উৎসব তাঁর এই স্বপ্ন পূরণের সুযোগ করে দিতে পারে৷

https://p.dw.com/p/1C4d6
ব্রাজিলীয় পরিচালক ওয়াল্টার সেলস (ডান থেকে তৃতীয়) এর সঙ্গে কামার এবং অন্যান্যরাছবি: K. Ahmed Simon

দক্ষিণ ফ্রান্সে বিশ্বখ্যাত কান উৎসবের সঙ্গে সম্পৃক্ত বিভিন্ন আয়োজনের একটি ‘বিশ্ব সিনেমা'৷ উদীয়মান চলচ্চিত্র নির্মাতারা এই আয়োজনে অংশ নিয়ে তাদের ভবিষ্যত প্রকল্প সম্পর্কে জানাতে পারেন৷ এই আয়োজনে নির্মাতাদের প্রকল্পকে আরো সমৃদ্ধ করতে বিভিন্ন আইডিয়া যেমন দেয়া হয়, তেমনি অর্থায়নের বিষয়টিও বিবেচনা করা হয়৷

Kamar Ahmad Simon in Cannes
কান চলচ্চিত্র উৎসবের অন্যান্য অতিথিদের মাঝে পাঞ্জাবি পরা কামারছবি: K. Ahmed Simon

চলতি বছরের ‘বিশ্ব সিনেমা' আয়োজনে অংশ নিতে দু'শোরও বেশি আবেদন জমা পড়েছিল৷ তার মধ্যে থেকেই দশটি আবেদন গ্রহণ করা হয়৷ কামার আহমাদ সাইমন সেই দশ সৌভাগ্যবান নির্মাতার একজন, যাঁদের আবেদন গ্রহণ হয়েছে৷ তাঁর মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো ‘বিশ্ব সিনেমা' আয়োজনে অংশ নেয়ার সুযোগ পেলো৷

কামারের নতুন চমক ‘শঙ্খধ্বনি'৷ ছবিরি কাহিনি সম্পর্কে আগেভাগে জানাতে খুব একটা স্বাচ্ছন্দবোধ করেন না তিনি৷ তবুও স্ক্রিনকমেন্ট ডটকম নামক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তাঁর সাক্ষাৎকার থেকে কিছুটা ধারণা পাওয়া যেতে পারে৷ মূলত দুই বন্ধুর ভ্রমণ নিয়ে তৈরি হয়েছে ‘শঙ্খধ্বনি' ছবির কাহিনি৷ সমুদ্রের দিকে ছুটে চলা এক নদীর খোঁজে বের হন তাঁরা৷ ছবির এই কাহিনি কামার পেয়েছেন নিজের জীবন থেকেই৷ ছোটবেলায় আপন বন্ধুকে হারান তিনি৷ যে কিনা উন্নত আর নিরাপদ ভবিষ্যতের আশায় ঘর ছেড়েছিল৷ সেই বন্ধুর অভাব এখনো অনুভব করেন কামার৷

স্ক্রিনকমেন্ট ডটকমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে কামার জানিয়েছেন তাঁর নিজস্ব ভাবনার কথা৷ ছবি নাকি মূলত তিনি তৈরি করেন নিজের জন্য৷ দ্বিতীয় কারণ ভবিষ্যত প্রজন্ম৷ আর তৃতীয়ত সেই সব দর্শকের জন্য ‘যারা ৯০ মিনিটের ছবি দেখার জন্য পয়সা দিয়ে পরের ৯০ মিনিটে সেই ছবির কথা ভুলে যেতে চায় না৷'

প্রসঙ্গত, কামার আহমাদ সাইমন নির্মিত প্রথম ছবির নাম ‘শুনতে কি পাও'৷ ভিন্ন ধারার এই ছবির মাধ্যমে ইতোমধ্যে দেশে, বিদেশে সাড়া জাগিয়েছেন তিনি৷ ২০১২ সালে জার্মানির লাইপসিসে বিশ্বের প্রাচীনতম চলচ্চিত্র উৎসব ‘ডক-লাইপসিশ' এর ৫৫তম আসরের উদ্বোধনী ছবি হিসেবে শুনতে কি পাও ছবিটির ‘ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার' অনুষ্ঠিত হয়৷ এরপর সেটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রদর্শিত হয়েছে৷ জয় করেছে বেশ কয়েকটি পুরস্কার৷

উল্লেখ্য, ‘শুনতে কি পাও' ছবির প্রযোজক সারা আফরীনও কান উৎসবে রয়েছেন৷ বিশ্বের অন্যতম বড় এই চলচ্চিত্র উৎসব শেষ হবে ২৫শে মে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য