বাংলা চলচ্চিত্রের জন্য দুঃসময়ের কাল
৩০ মে ২০১৩ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও চলচ্চিত্র নিয়ে লেখালেখি করা ফাহমিদুল হক তাঁর ফেসবুকে লিখেছেন, ‘‘তাঁর উদাহরণ না থাকলে কলকাতার নতুন ধরনের ছবিগুলো হতো কিনা সন্দেহ৷ সত্যজিৎ-ঋত্বিক-মৃণালের শুরুর পর বুদ্ধদেব-গৌতম-অপর্ণার দ্বিতীয় প্রজন্মের সঙ্গে একটা সুতোর মতো সংযোগ তিনি প্রায় একাই স্থাপন করেছিলেন....অপ্রথাগত সেক্সুয়াল আইডেন্টিটি এবং সেসব চরিত্রে অভিনয় করা এবং ‘চিত্রাঙ্গদা'-য় সেবিষয়ে স্পষ্ট অবস্থান নিয়েছিলেন তিনি৷''
রাগিব হাসান ফেসবুকে লিখেছেন, বাংলা সিনেমার খ্যাতনামা সব চলচ্চিত্র নির্মাতারা বড় তাড়াতাড়ি চলে যাচ্ছেন৷ গত বছর তারেক মাসুদ, এবছর ঋতুপর্ণ৷ তাঁর মতে, এটা বাংলা চলচ্চিত্রের জন্য এক দুঃসময়ের কাল৷
আহসানুল হক দর্শনীয়, রুচিশীল ও শৈল্পিক সব ছবি উপহার দেয়ার জন্য এই চলচ্চিত্র নির্মাতাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন৷
শরিফুল হাসান ফেসবুকে লিখেছেন, ‘‘তাঁর অদ্ভুত চেহারা দেখলে আমার বিরক্ত লাগতো৷ তবে আমি মুগ্ধ হয়ে দেখেছি দহন, উৎসব, ১৯ এপ্রিল, তিতলি, শুভ মহরত, আবহমানের মতো সব চলচ্চিত্র৷ অসাধারণ এই চলচ্চিত্রগুলো যিনি নির্মাণ করেছেন সেই ঋতুপর্ণ ঘোষকে আমার শ্রদ্ধা৷''
সামহয়্যার ইন ব্লগে ‘ইচ্ছামানুষ রনি' ঋতুপর্ণ ঘোষকে নিয়ে কিছু ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণা শেষে লিখেছেন, ‘‘তারেক মাসুদ মারা যাওয়ার পরে যেমন বুকের মধ্যে একটা খালি খালি অনুভূতি তৈরি হয়েছিল, তেমনটাই হচ্ছে এই মুহূর্তে৷ একজন বিদেশির জন্য এই ধরণের অনুভূতি আমার সহসা হয়নি৷ ভালো থাকবেন ঋতুপর্ণ৷ রেস্ট ইন পিস৷''
আমারব্লগে ‘মহামান্য গুরুভাই' বলছেন, বড় অকালে ঝড়ে গেলো বাংলা চলচ্চিত্র জগতের উজ্জ্বল এক তারা৷
তবে একটু ব্যতিক্রমী স্ট্যাটাস দেখা গেলো মোবাশ্বার হাসানের লেখায়৷ ঋতুপর্ণ ঘোষের প্রয়াণে বাংলাদেশের গণমাধ্যম ও লোকজন যে শোক দেখাচ্ছে তা ঠিক হচ্ছে বলে তিনি মনে করছেন না৷ তাঁর প্রশ্ন, ‘‘দেশের কয়জন উনার ছবি দেকসে? কিংবা তাঁর নাম জানে? কিন্তু এমনভাবে মিডিয়াগুলোতে এই খবর প্রচার হচ্ছে যেন আমাদের দেশের শহর-গ্রাম-বাংলার মানুষের প্রাণের প্রিয় লোক ছিলেন ঋতুপর্ণ দা৷ উনি তা ছিলেন না৷''