1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

করোনার নিয়ম মানা হয়নি, জার্মানির চার্চে পুলিশ

৪ জানুয়ারি ২০২১

জার্মানির চার্চে হাজির পুলিশ। সেখানেই তারা প্রায় একশ জনকে পেল, যাঁরা করোনার নিয়ম না মেনে মাস্ক ছাড়াই গান গাইছেন।

https://p.dw.com/p/3nTr6
জার্মানির চার্চে করোনার বিধি ভাঙার অভিযোগ। ছবি: picture-alliance/dpa/S. Sauer

জার্মানির নর্থ রাইন ওয়েস্টফালিয়ার শহর হারফোর্ড। সেখানেই চার্চে উপস্থিত হলো পুলিশ। সেখানে তখন দেড়শ মানুষ। কিন্তু তার মধ্যে একশজনের মুখে মাস্ক নেই। সামাজিক দূরত্বের বিধিও তাঁরা মানেননি। পুলিশ জানিয়েছে, বিধিভঙ্গের দায়ে তাঁরা অভিযুক্ত হয়েছেন।

করোনা বিধিভঙ্গের দায়ে তাঁদের এবং উদ্যোক্তাদের ভালো রকম জরিমানা হতে পারে। করোনা বিধি অনুসারে যাবতীয় সতর্কতা নিয়ে মাত্র ২০ জন এই ধরনের অনুষ্ঠান বা প্রার্থনায় অংশ নিতে পারেন। তার বেশি নয়। পুলিশ জানিয়েছে, তারা যখন চার্চে পৌঁছয়, তখন বাচ্চা সহ একশ জন করোনার বিধি মানেননি। তাঁরা পাশাপাশি দাঁড়িয়ে প্রার্থনা সংগীত গাইছিলেন।  

জার্মানিতে এখন করোনা রুখতে কড়াকড়ি খুবই কঠোর। ডিসেম্বরে এই কড়াকড়ির জন্য বড়দিনের মার্কেট সহ বেশ কিছু ইভেন্ট বাতিল হয়েছে।

তবে বড়দিনের আগেও জার্মানির এসেন শহরে একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল। সেখানে লকডাউনের সময় নিয়ম ভাঙার জন্য ৬০ জনকে নোটিস দেয়া হয়েছিল। জার্মানির ১৬টি রাজ্য নিজের মতো করে করোনা নিয়ে বিধিনিষেধ চালু করতে পারে। কোনো রাজ্যই ধর্মীয় জমায়েত পুরোপুরি বাতিল করেনি। তা সত্ত্বেও বড়দিনে অনেক চার্চেই সার্ভিস বাতিল করা হয়েছিল। অনেকে অনলাইনে বা টিভিতে তা দেখিয়েছিলেন।

করোনা অতিমারির সময়ে ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করার বিষয়টি ছিল জার্মানির আইনসভার সদস্যদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ। ধর্মীয় স্বাধীনতার বিষয়টি সবসময়ই স্পর্শকাতর। বিশেষ করে অতিমারির সময় মানুষ আরো বেশি স্পর্শকাতর হয়ে ওঠে। জার্মানির সংবিধানে বলা আছে, ধর্মীয় কার্যকলাপ অক্ষুণ্ণ রাখা হবে। তাই এই বিষয়টি নিয়ে তাঁরা সাবধানে পা ফেলেছেন।

জিএইচ/এসজি(ডিপিএ, কেএনএ)