করোনা ভাইরাস: বিশ্বব্যাপী জরুরি অবস্থা?
২২ জানুয়ারি ২০২০এদিকে, চীনে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৪৭৩ হয়েছে৷ এখন পর্যন্ত মারা গেছেন নয় জন৷ তাঁরা সবাই চীনের হুবেই রাজ্যের উহান শহরের বাসিন্দা৷ সেখানেই প্রথম এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে৷
চীন ছাড়াও এখন পর্যন্ত তাইওয়ান, ফিলিপাইন্স, থাইল্যান্ড, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া গেছে৷ যুক্তরাষ্ট্রেও একজন আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে৷
চীনের উহান শহর থেকে ম্যাকাও যাওয়া একজন পর্যটকের দেহেও এই ভাইরাস পাওয়া গেছে৷
এছাড়া অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেনে উহান থেকে ফেরা এক ব্যক্তিকে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে পরীক্ষা করা হয়৷ তবে তাঁর শরীরে এই ভাইরাস পাওয়া যায়নি৷
চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের উপ-পরিচালক লি বিন বলেন, করোনা ভাইরাসের উৎস এবং এটি কীভাবে ছড়িয়ে পড়ে তা জানতে গবেষণার পরিধি বাড়ানো হচ্ছে৷
এদিকে, সপ্তাহান্তে চীনের নববর্ষকে ঘিরে বিদেশে থাকা অনেক চীনা নাগরিক দেশে ফিরছেন৷ তাঁরা যখন আবার ফিরে যাবেন তখন তাঁদের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷
এছাড়া চীনের ভেতরেও এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় মানুষের যাতায়াত বাড়ছে৷ তাই বিমানবন্দরসহ রেল ও বাস স্টেশনে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে৷
২০০২ -২০০৩ সালে চীনে সার্স (সিভিয়ার একিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোম) ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছিল৷ সেই সময় প্রায় আটশ জন মারা গিয়েছিলেন৷ করনো ভাইরাস নিয়েও সেরকম আশঙ্কা করা হচ্ছে৷
জেডএইচ/কেএম (রয়টার্স, এপি)