1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কবে মুক্তি মিলবে খালেদা জিয়ার?

৩১ জুলাই ২০১৮

বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া আরো দু'টি মামলায় জামিন পেয়েছেন৷ আর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় জামিনের মেয়াদ বেড়েছে৷ তবে খালেদা জিয়ার মুক্তির কোনো আশা দেথছেন না তাঁর আইনজীবীরা৷

https://p.dw.com/p/32NvQ
Bangladesch Prozess gegen Ex-Regierungschefin Khaleda Zia
ছবি: picture-alliance/AP Photo/A.M. Ahad

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার জমিনের মেয়াদ ৮ আগস্ট পর্যন্ত বাড়িয়েছেন হাইকোর্ট৷ এই মামলায়ই পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হওয়ায় ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে পাঠানো হয় তাঁকে৷ মামলায় খালাস চেয়ে করা আপিলের শুনানি চলছে৷

এদিকে ‘ভুয়া জন্মদিন পালন' ও মুক্তিযুদ্ধকে ‘কলঙ্কিত' করার অভিযোগে ঢাকায় দায়ের করা মানহানির দুই মামলায় মঙ্গলবার বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত৷ মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েস জামিনের আদেশ দেন৷

‘মামলারতো আর অভাব নাই৷ আগস্টের ১৫ তারিখের পর বোঝা যাবে ঘটনা কোন দিকে যাবে’

খালেদা জিয়ার মুক্তি প্রসঙ্গে আইনজীবী অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, ‘‘ম্যাডাম মঙ্গলবার যে দু'টি মামলায় জামিন পেয়েছেন তাতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা হাজির করা ছিল না৷ আর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার জামিনের মেয়াদ বেড়েছে আপিল শুনানির সময় বাড়ার কারণে৷ কিন্তু খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আরো অন্ততঃ পাঁচটি মামলায় ওয়ারেন্ট আছে৷ এরমধ্যে তিনটি মামলা কুমিল্লায়, নড়াইলে একটি এবং ঢাকায় একটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি আছে৷ আর মামলা আছে অনেক৷ কোনটায় কখন কী হয় বলা যায় না৷ কুমিল্লার দু'টি মামলার জামিন শুনানি এখন হাইকোর্টে চলছে৷

বাস পোড়ানোর ঘটনায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানায় ২০১৫ সালের ২৫ জানুয়ারি একটি এবং ৩ ফেব্রুয়ারি দুইটি মামলা দায়ের করা হয়৷ এই তিনটি মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আছে৷ মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ২৩ আগস্ট গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন নড়াইলের আদালত৷

নড়াইলের নড়াগাতী থানাধীন চাপাইল গ্রামের রায়হান ফরুকী বাদী হয়ে ২০১৫ সালের ২৪ ডিসেম্বর নড়াইল আদালতে এ মামলা করেন৷

‘সরকার মামলাগুলো ঝুলিয়ে রাখবে, জামিন হতেও সময় লাগবে'

এছাড়া ঢাকায় আরেকটি মানহানির মামলায়ও খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট আছে৷

অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, ‘‘মামলারতো আর অভাব নাই৷ কুমিল্লার দু'টি মামলার রুলের শুনানি চলছে৷ আগস্টের ১৫ তারিখের পর বোঝা যাবে আসলে ঘটনা কোন দিকে যাবে৷ ওই সময়ের পর রুল নিষ্পত্তি হওয়ার কথা৷''

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার পাঁচ বছর কারাদণ্ড হয়েছে৷ কিন্তু খালেদা জিয়ার নামে আরো ৩৪টি মামলা আছে৷ এরমধ্যে ১৯টি মামলা বিচারাধীন, তদন্ত চলছে ১২টি মামলার এবং আদালতের নির্দেশে ৩টি মামলার কার্যক্রম স্থগিত আছে৷ বিচারাধীন ১৯টি মামলার মধ্যে ১৪টির বিচার কার্যক্রম রাজধানীর পুরান ঢাকার বকশি বাজারের বিশেষ আদালতে পাঠানো হয়েছে৷

খালেদা জিয়ার আরেকজন আইনজীবী অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান ডয়চে ভেলেকে বলেন,‘‘আমরা প্রতিমূহূর্তেই আশা করি ম্যাডাম খালেদা জিয়া মুক্তি পাবেন,আইনি লড়াইও চালাচ্ছি৷ কিন্তু সরকার যেভাবে আদালতকে নিয়ন্ত্রণ করছে তাতে পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে যে সরকার না চাইলে খালেদা জিয়া মুক্তি পাবেন না৷''

তিনি আরো বলেন, ‘‘সরকার মামলাগুলো ঝুলিয়ে রাখবে৷ জামিন হতেও সময় লাগবে৷ তাই জামিন পেতে পেতে ম্যাডাম কবে মুক্তি পাবেন তা বলা সম্ভব নয়৷'' 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য