বিজেপির দিকে দুর্নীতির তির
১৮ অক্টোবর ২০১২কংগ্রেসের সলমান খুরশিদ এবং কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর জামাই রবার্ট বঢ়োরা এবং বিজেপি সভাপতি নিতিন গডকড়ির পর এবার নিশানা এখন কংগ্রেস-জোট সরকারের শরিক দল এনসিপি দলের সভাপতি কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী শারদ পাওয়ার৷
বিজেপি সভাপতি নিতিন গডকড়ির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন ইন্ডিয়া এগেনস্ট কোরাপশন আন্দোলনের অন্যতম নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল৷ বিজেপিকে নিশানা করতে পারে আন্দাজ করে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব সেই অভিযোগ খন্ডন করতে এগিয়ে আসেন৷
শারদ পাওয়ারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনেন ইন্ডিয়া এগেনস্ট কোরাপশন সংগঠনের অন্য একজন সদস্য৷ সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, যে ১৫ জন মন্ত্রী বিরুদ্ধে তাঁদের অভিযোগ তার অন্যতম হলেন কৃষিমন্ত্রী শারদ পাওয়ার৷ তাঁর বিরুদ্ধে তিনটি প্রধান অভিযোগ, গম আমদানি, ডাল আমদানি এবং মুম্বইয়ের উপকন্ঠে লাভাসা আবাসন প্রকল্পের জমি কেলেঙ্কারি৷ এর জন্য অবিলম্বে তাঁর মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দেয়া উচিত৷
বিজেপির সভাপতি নিতিন গডকড়ির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ খন্ডন করে দলের পক্ষে সংসদীয় নেতা অরুণ জেটলি এবং সুষমা স্বরাজ বলেন, এই অভিযোগের সারবত্তা কিছু নেই৷ অস্বস্তি যদি কারোর হয়ে থাকে, তা হয়েছে মহারাষ্ট্রের কংগ্রেস-এসিপি জোট সরকারের৷ নিতিন গডকড়ি জমি দখল করেননি, তাঁকে বণ্টন করেছে মহারাষ্ট্র সরকার এবং সেটা করা হয়েছিল বৈধভাবে৷
কেজরিওয়ালের অভিযোগ, মহারাষ্ট্র সরকার সেচ-বাঁধের জন্য যেসব জমি অধিগ্রহণ করেছিল, তার বাড়তি জমি কৃষকদের ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তিবিশেষ বা সংস্থাকে দেয়া যায় না৷ অরুণ জেটলির মতে পুরানো জমি আইন অনুসারে সেটা সরকারের ইচ্ছার ওপর নির্ভর করে৷ তিনি মনে করেন, এই ধরণের ভিত্তিহীন অভিযোগ এনে নিজের এবং নাগরিক সংগঠনের বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট করছেন৷ বিজেপি সভাপতির বিরুদ্ধে একটি অভিযোগও কেজরিওয়াল প্রমাণ করতে পারবে না৷
এক সংবাদ সম্মেলনে কেরিওয়াল তোপ দেগেছিলেন এই বলে যে, বিদর্ভের শুখা এলাকায় জলাভাব দূর করতে রাজ্য সরকারের সেচ দপ্তর অতিরিক্ত ১০০ একর জমি অধিগ্রহণ করেছিল৷ বাঁধ নির্মাণের পর ৩৭ একর বাড়তি জমি গডকড়ি পরিচালিত এনজিওকে দেয়া হয় নামমাত্র দামে তৎকালীন সেচমন্ত্রী অজিত পাওয়ারের নির্দেশে৷ উল্লেখ্য, অজিত পাওয়ার কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রি শরদ পাওয়ারের ভাইপো৷ শুধু তাই নয়, বাঁধের জল সেচে ব্যবহার না করে তা দেয়া হয় গডকড়ির চিনি কলে৷ ফলে চাষিরা না পেল জমি, না পেল জল৷ বিদর্ভের বহু চাষি শুখা মরশুমে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়৷
পর্যবেক্ষকদের ধারণা, রাজনৈতিক দল গঠনের আগে দল নির্বিশেষে রাজনৈতিক নেতাদের নিশানা করে অরবিন্দ কেজরিওয়াল বোঝাতে চাইছেন যে, তিনি একটা পৃথক রাজনৈতিক সত্তা নিয়ে দাঁড়াতে চাইছেন৷