দুর্নীতি বিরোধী আন্দোলন
১২ অক্টোবর ২০১২‘ইন্ডিয়া এগেনস্ট করাপশন' আন্দোলনের সদস্য অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে শুক্রবার গ্রেপ্তার করে দিল্লি পুলিশ৷ রাষ্ট্রীয় বিকলাঙ্গ পার্টির প্রতিবন্ধীদের নিয়ে মিছিল করে তিনি প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন সাত নম্বর রেসকোর্সে দিকে যাবার চেষ্টা করলে পুলিশ তাঁদের মাঝপথে আটকালে, সেখানেই তাঁরা ধরনায় বসে৷ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার জন্য তাঁরা সময় চেয়েছিলেন, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী তাঁদের সঙ্গে দেখা করেননি৷ প্রধানমন্ত্রী প্রতিবন্ধী লোকেদের সঙ্গে দেখা না করা পর্যন্ত ঐ জায়গাতেই তাঁরা অবস্থান করবেন বলে জানান সমর্থকরা৷ ঐ ভিআইপি এলাকা খালি না করায় পুলিশ তাঁদের জোর করে তুলে নিয়ে যায়৷
কেজরিওয়াল কটাক্ষ করেন, ‘‘মুষ্টিমেয় প্রতিবন্ধী যদি প্রধানমন্ত্রী নিরাপত্তার পক্ষে বিপজ্জনক হয়, তাহলে দেশের ভবিষ্যৎ কোথায় যাবে৷ আমাদের দাবি, যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী সেই আইনমন্ত্রী সলমান খুরশিদকে মন্ত্রিসভা থেকে বরখাস্ত করছেন না কেন? কেন তাঁকে গ্রেপ্তার করছেন না৷ কারণ ক্ষমতাশালী রাজনৈতিক নেতা যদি বাইরে থাকে, তাহলে সাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারেন৷ সাক্ষ্য প্রমাণ লোপাট করতে পারেন৷''
কেজরিওয়াল বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধীদের তরফে যেসব অভিযোগ তোলা হয়েছে, তার বিস্তারিত বিবরণ সম্বলিত একটি চিঠি তাঁরা প্রধানমন্ত্রীকে দিতে চেয়েছিলেন৷ কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর তা শোনার সময় নেই৷ এখন গণতন্ত্রের সংজ্ঞাটা পালটাতে হবে৷ গণতন্ত্র এখন জনগণের দ্বারা, জনগণের হয়ে, জনগণের জন্য নয়৷ ভিআইপির দ্বারা ভিআইপির হয়ে ভিআইপির জন্য৷''
সলমান খুরশীদের বিরুদ্ধে অভিযোগটা কী ? উত্তর প্রদেশে প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে জাকির হোসেন মেমোরিয়াল ট্রাস্ট নামে একটি এনজিও চালান খুরশিদের পত্নী লুইস৷ অভিযোগ ট্রাস্টের টাকা পয়সা অফিসারদের সই জাল করে তছরুপ করা হয়৷ সরকার ঐ ট্রাস্টকে আর্থিক অনুদান দিয়ে থাকে৷ এই অভিযোগ অস্বীকার করেন লুইস ও খুরশিদ উভয়েই৷ আইনমন্ত্রী বলেন, এর যোগ্য প্রত্যুত্তর হবে কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে ফৌজদারি ও দেওয়ানি মামলা করা৷
দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই চলবে৷ গণ আন্দোলনের ডাক দিয়ে ধরনার জায়গাটাকে কেজরিওয়াল তাহরির স্কোয়্যারে পরিণত করতে বলেন৷ গত বছর মিশরের তাহরির স্কোয়ারে সরকার বিরোধী আন্দোলন শুরু হয়েছিল৷
প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন