কংগ্রেসে ভোটের দায়িত্ব পাবেন প্রশান্ত কিশোর?
১৯ এপ্রিল ২০২২কিছুদিনের মধ্যেই গুজরাট, হিমাচল প্রদেশের নির্বাচন। আগামী বছর কর্ণাটক, ছত্তিশগড়, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশে ভোট। ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচন। এখন থেকে উঠেপড়ে না লাগলে, বিশেষজ্ঞদের সাহায্য না নিলে কংগ্রেসের পক্ষে বিজেপি-র মোকাবিলা করা সম্ভব নয় বলে দলের নেতারাই স্বীকার করছেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে ভোটকৌশলী প্রশান্ত কিশোর বা পিকের সঙ্গে পরপর দুইটি বৈঠক খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।
পিকের সঙ্গে বৈঠকে পুরো গান্ধী পরিবার তো ছিলই, সেই সঙ্গে কে সি বেনুগোপাল, রণদীপ সূরযেওয়ালা, অম্বিকা সোনি, মকুল ওয়াসনিকের মতো নেতারাও ছিলেন। কংগ্রেস সূত্র জানাচ্ছে, বৈঠকে পিকে আলাদাভাবে লোকসভা ও রাজ্য বিধানসভা নিয়ে প্রেজেন্টেশন দিয়েছেন। পিকে যে প্রেজেন্টেশন দিয়েছেন, তা নিয়ে অন্য নেতারা এবার সাতদিনের মধ্যে তাদের মতামত জানাবেন। তারপর বিষয়টি চূড়ান্ত হবে।
সূত্র জানাচ্ছে, রাহুল গান্ধী চান, পিকে কংগ্রেসে যোগ দিন। তারপর তিনি এই প্রচার কৌশল ঠিক করুন। রাহুলের ইচ্ছাপূরণ হবে কি না, তা এখনই বলা যাচ্ছে না।
পিকে চান, কংগ্রেস লোকসভায় ৩৭০টির মতো আসনে লড়ুক। বাকি আসন তারা জোট-শরিকদের ছেড়ে দিক। তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ডের মতো রাজ্যগুলিতে তারা জোটের সঙ্গে থাকুক। আর উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ওড়িশা, রাজস্থান, ছত্তিশগড়ে তারা একাই লড়ুক।
সমস্যা কোথায়?
বছরখানেক আগে গান্ধী পরিবারের সঙ্গে পিকে-র আলোচনা হয়েছিল। তখনো পিকে-র কংগ্রেসে যোগ দেয়ার কথা ছিল। তখন দলীয় নেতৃত্বের একটা অংশ বিরোধিতা করেছিল।
প্রবীণ সাংবাদিক শরদ গুপ্তা ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, ''কংগ্রেস নেতৃত্ব যে বিষয়টা নিয়ে চিন্তিত, তা হলো পিকে যোগ দেয়ার পর কীভাবে তাকে নিয়ন্ত্রণে রাখা হবে? কারণ, পিকে যে দলের হয়ে কাজ করেন, সেই দলের সঙ্গে অনেক সময়ই তার বিরোধ দেখা দেয়। তিনি দলের কাজে খুব বেশি হস্তক্ষেপ করেন।'' তার মতে, ''জেডিইউ এবং তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বের সঙ্গে পিকের বিরোধ সামনে এসেছে। তাই কংগ্রেসের নিয়ন্ত্রণে থেকে পিকে যাতে কাজ করেন, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে চাইছেন কংগ্রেস নেতারা।''
শরদের মতে, ''পিকে এখনো পর্যন্ত নতুন কোনো কথা বলেননি। ৩৭০ আসনে লড়াই করা, জোট বজায় রাখার মতো বিষয়গুলি নিয়ে কংগ্রেসে আগেই আলোচনা হয়েছে। কংগ্রেসের কাছে এখন প্রথম ও প্রধান বিষয় হলো, কী করে এই সবচেয়ে পুরনো দল আবার জয়ের রাস্তায় ফিরবে?''
জিএইচ/এসজি (পিটিআই, এএনআই)