গ্রামীণ ব্যাংক আইন সংশোধন
২৩ আগস্ট ২০১২গ্রামীণ ব্যাংকের আইন সংশোধনের অনুমোদন দেয় মন্ত্রীসভা গত ২রা আগস্ট৷ আর রাষ্ট্রপতি তাতে সম্মতি দেয়ার পর, তা গেজেট আকারে প্রকাশ করে অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে আজ৷ আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ জানিয়েছেন, সংসদের আগামী অধিবেশনের প্রথম দিনেই এটা বিল আকারে উত্থাপন করা হবে৷ এই অধ্যাদেশ অনুযায়ী, গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে আলাপ করে একটি সিলেকশন কমিটি গঠন করবেন, যাতে তিন থেকে পাঁচ জন থাকবেন৷ এরপর সেই কমিটি ঐ তিন জনের নাম প্রস্তাব করবে৷ আর তাঁদের মধ্য থেকেই একজনকে গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি হিসেবে বেছে নেয়া হবে৷
আগের আইনে সিলেকশন কমিটি এবং এমডি নিয়োগের এক্তিয়ার ছিল পরিচালনা পর্ষদের হাতে৷ এই অধ্যাদেশের মাধ্যমে তা খর্ব করা হল বলে অভিযোগ৷ তবে আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেছেন, কারুর ক্ষমতা খর্ব করা নয়, বরং গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি নিয়োগে স্বচ্ছতা আনতেই আইনে এই পরিবর্তন আনা হয়েছে৷
তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্ণর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি নিয়োগে পরিচালনা পর্ষদকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিতে হবে৷ এতে সরকার বা ব্যাংকের চেয়ারম্যান কোনোভাবে হস্তক্ষেপ করলে স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবেনা৷ আর এমডি হিসেবে এমন ব্যক্তিকে বেছে নিতে হবে, যাঁর ক্ষু্দ্র ঋণ নিয়ে বাস্তব জ্ঞান আছে৷
বলাবাহুল্য, এমডি হলেন গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী৷ গত বছর গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সরিয়ে দেয়ার পর থেকে নতুন এমডি নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক চলছে৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ