1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গ্রামীণ ব্যাংক

২৩ আগস্ট ২০১২

অর্থনীতিবিদ ড. আকবর আলী খান মনে করেন, গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগ নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা নিরসনের একমাত্র উপায় হচ্ছে গণতন্ত্রের নীতি অনুসরণ করা৷ ডয়চে ভেলেকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে একথা বলেন তিনি৷

https://p.dw.com/p/15uHh
ছবি: AP

গ্রামীণ ব্যাংকের নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগ নিয়ে সৃষ্ট বিতর্ক এখনো অব্যাহত রয়েছে৷ বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বুধবার বলেছেন, ‘‘গ্রামীণ ব্যাংকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নিয়োগের জন্য এক সপ্তাহের মধ্যে সার্চ কমিটি গঠন করা হবে৷'' একইসঙ্গে এই সার্চ কমিটির ‘চেয়ারম্যান' হিসেবে মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়োগের কোনো সম্ভাবনা নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি৷

গ্রামীণ ব্যাংক বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে অধ্যাপক ইউনূসকে এড়িয়ে চলার একটি প্রবণতা বর্তমান সরকারের মধ্যে প্রকট৷ অথচ এই ব্যাংকের সঙ্গে সবচেয়ে ঘনিষ্ঠভাবে যিনি সম্পৃক্ত, তিনি হচ্ছেন অধ্যাপক ইউনূস৷ অর্থনীতিবিদ ড. আকবর আলী খান এই বিষয়ে বলেন, ‘‘দীর্ঘদিন ধরে সরকার এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে৷ এতে করে সরকারের কী লাভ হবে, সেটা সরকারই বলতে পারবেন৷ তবে এধরনের বিতর্কে প্রতিষ্ঠানের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে৷''

ড. আকবর আলী খান বলেন, ‘‘(গ্রামীণ ব্যাংকের) নেতৃত্বে আকস্মিক পরিবর্তন হলে এবং প্রতিষ্ঠানটি নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক হলে এটির গ্রাহকদের আস্থা কমে যাবে৷ গ্রাহকদের আস্থা কমে গেলে প্রতিষ্ঠানটিও দুর্বল হয়ে যাবে৷ কারণ, গ্রামীণ ব্যাংকে আট হাজার কোটি টাকা জমা দিয়েছে ব্যাংকটির সদস্যরা৷''

BM/230812/Interview: Dr. Akber Ali Khan on Grameen Bank Issue - MP3-Mono

গ্রামীণ ব্যাংক ইস্যুতে বর্তমান সরকারের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতবিরোধও ক্রমশ দৃশ্যমান হচ্ছে৷ ইতিমধ্যে একাধিকবার এই ইস্যুতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সেদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়৷ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টন তাঁর বাংলাদেশ সফরে এই বিষয়টি উল্লেখ করেছেন৷ ড. খান বলেন, ‘‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের নীতিতে অনঢ়৷ সরকারও তাদের অবস্থানে অনঢ়৷ কাজেই এই অনঢ় অবস্থানে থাকার ফলে কি পরিস্থিতি হয় সেটা আমাদের দেখতে হবে৷''

বাংলাদেশ সরকারের সাবেক এই উপদেষ্টা ‘গণতান্ত্রিক' উপায়ে গ্রামীণ ব্যাংকের সংকট নিরসনের প্রতি জোর দেন৷ তিনি বলেন, ‘‘গ্রামীণ ব্যাংকের অর্ডিনেন্স অনুসারে গ্রামীণ ব্যাংকের সদস্যরা ব্যাংকটির ৭৫ শতাংশ শেয়ারের মালিক৷ আরো ২২ শতাংশ শেয়ার তারা সরকারের কাছ থেকে কিনেছেন৷ কিন্তু সরকার কাগজপত্র এখনো চূড়ান্ত করেনি৷ এই কাগজপত্র চূড়ান্ত করলে ৯৭ শতাংশে শেয়ারের মালিক হচ্ছেন ব্যাংকটির সদস্যরা৷ কাজেই গণতান্ত্রিক রীতিনীতি অনুসারে গ্রামীণ ব্যাংকের সদস্যদের হাতেই ব্যাংকটির পরিচালনার দায়িত্ব দিয়ে দেওয়া উচিত৷ সেটা করলে আস্থার সংকট হবে না এবং ব্যাংকটিও ভালোভাবে চলবে৷''

প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য