1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এন৯৫ মাস্ক বাধ্যতামূলক করা নিয়ে বিতর্ক

১৫ জানুয়ারি ২০২১

করোনা সংক্রমণ ঠেকানো কঠিন হয়ে পড়েছে জার্মানিতে৷ তাই এন৯৫ মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাবে সায় দিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তবে অনেক রাজনীতিক আপত্তি জানিয়েছেন৷

https://p.dw.com/p/3nuLj
ছবি: picture-alliance/dpa/maxppp/Pierre Teyssot

এফএফপি-২ মাস্ক অর্থাৎ ‘ফিল্টারিং ফেসপিস' যা কিনা কাছাকাছি বসা মানুষের নাক-মুখের শ্বাসপ্রশ্বাসকে ভালোভাবে ফিল্টার করে৷ সোমবার থেকে বাভারিয়ায় গণপরিবহন এবং দোকানপাটগুলোতে এই মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করার ঘোষণা দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মার্কুস সোয়েডার৷ তার মতে বিশেষ মাস্ক নিজেকে ছাড়াও আশেপাশের মানুষকে সুরক্ষা দেবে৷

জার্মানির ভাইরোলজিস্ট আলেকজান্ডার কেকুলে এ বিষয়ে বলেন, ‘‘এফএফপি মাস্ক অবশ্যই সাধারণ মাস্কের চেয়ে বেশি সুরক্ষা দেয় ৷ বিশেষ করে পাবলিক ট্রান্সপোর্টে যেখানে অনেক মানুষের ভিড় থাকে সেসব জায়গায় করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করতে পারে৷''

ভাইরোলজিস্ট ইয়োনাস স্মিট চ্যানাসিট এ বিষয়ে আলেকজান্ডার কেকুলের সাথে একমত হয়ে জানান, ‘‘সকলেরই বিশেষ মাস্ক পরা উচিত তবে কাউকে জোর করা ঠিক নয়, তাছাড়া কিভাবে এই বিশেষ মাস্ক পরতে হয় তা সম্পর্কে অবশ্যই সকলের ধারণা থাকতে হবে৷''

এন ৯৫ বা এফএফপি ২ মাস্ক সাধারণত ডাক্তার বা স্বাস্থ্যকর্মীরাই ব্যবহার করে থাকেন৷ তূলনামূলকভাবে এসব মাস্কের মূল্য বেশি, জার্মানিতে এরকম একটি মাস্কের মূল্য আড়াই ইউরো৷ স্বল্প আয়ের মানুষ বা পরিবারের জন্য কেনা একেবারে সহজ নয়৷

বাম দলের নেতা কাটিয়া কিপিং এ সম্পর্কে বলেন, ‘‘এফএফপি মাস্ক যা মাত্র একবার ব্যবহার করা যায় তা সকলের জন্য বাধ্যতামূলক করা হলে স্বল্প আয়ের পরিবারগুলো জনজীবন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে৷’’

হামবুর্গ-এপেনডর্ফ, ইয়োহানেস ক্নোবলখ বিশ্ববিদ্যালয় ক্লিনিক হাসপাতালের হাইজিন বিভাগের প্রধান জানান , এফএফপি মাস্ক বাধ্যতামূলক করা হলে এর কাঙ্খিত ফল নাও থাকতে পারে৷ তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ‘‘যারা পুরোপুরি ফিট নয় তাদের জন্য এফএফপি-২ মাস্ক নিরাপদ নয়৷ তাছাড়া ক্লিন শেভড পুরুষদের জন্য যতটা  দাড়ি গোঁফে ঢাকা মুখের জন্য ততটা উপযুক্ত নয়৷’’

এ বিষয়ে এফডিপি দলের প্রধান ক্রিস্টিয়ান লিন্ডনারের সমর্থন রয়েছে৷ তবে বুধবার জার্মান সংসদ বুন্ডেসটাগ-এ করোনা বিধিনিষেধ বিষয়ক বক্তৃতায় জার্মান স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইয়েন্স স্পান কোনো মন্তব্য করেননি৷

ইয়েন্স থুরাও/এনএস/কেএম

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য